শিরোনাম

South east bank ad

ডাকসুর বিজ্ঞান মিলনায়তন বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম সুজন এখন রেলমন্ত্রী

 প্রকাশ: ১০ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

নূরুল ইসলাম সুজন ৫ জানুয়ারি ১৯৫৬ সালে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘির মহাজনপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এমাজউদ্দি আহম্মেদ ও কবিজান বেছারের দ্বিতীয় সন্তান। তার বড় ভাই এডভোকেট মোঃ সিরাজুল ইসলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা ও পঞ্চগড় হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী নিলুফার ইসলাম অসুস্থতা য় ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ৫ জুন ২০২১ সালে তিনি দিনাজপুরের বিরামপুরের শাম্মী আকতার মনিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

মো: নূরুল ইসলাম সুজন ময়দানদীঘি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ময়নাদীঘি বি এল উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজ হতে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি আইনের ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ডাকসুর বিজ্ঞান মিলনায়তন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

নূরুল ইসলাম সুজন পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন। তিনি ঢাবির সিনেট সদস্য ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহআইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম অংশগ্রহণ করেন নূরুল ইসলাম সুজন। অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম পরাজিত হন। পঞ্চগড়-২ আসনে নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী মোজাহার হোসেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সুজন। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী এমরান আল আমিনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী ছিলেন এবং ঐতিহাসিক জেল হত্যা মামলারও বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন।

নবম জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিনাজপুর এর রিজেন্ড বোর্ডের সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা-এর সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১০ম জাতীয় সংসদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও বে-সরকারী সিদ্ধান্ত প্রস্তাব বিল এবং সরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদীয় কমিটির কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে জার্মানী, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, জাপান, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মরোক্কো, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা, ইথিওপিয়া, সুদান, মিশর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, হংকং, মরিশাস, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপাইন এবং সৌদি আরব সহ বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেন।

পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সুপ্রীম কোর্ট শাখার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন ২০০৪ সালে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হন এবং অদ্যবধি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

টানা ৩ মেয়াদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইয়াফেস ওসমান ইয়াফেস ওসমান (জন্ম ১ মে, ১৯৪৬) হলেন একজন স্থপতি ও রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই থেকে বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী। এর পূর্বে তিনি একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক।

ওসমান ১৯৪৬ সালের ১ মে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান এবং মাতা সালেহা ওসমান। তার ভাই বুলবন ওসমান একজন সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী ও শিক্ষায়তনিক ব্যক্তি। তিনি চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুল এ পড়াশুনা করেন। পরবর্তীতে তিনি সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ১৯৭০ সালে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পরে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক হিসেবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ওসমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ২নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।

ওসমান তার কর্মজীবন শুরু করেন ফজলুর রহমান খানের অধীনে জুনিয়র স্থপতি হিসেবে। তিনি খানের অধীনে ১৯৭০ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৭২ সালে এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ সরকারের আবাসন বিভাগের স্থপতি হিসেবে ১৯৭২ সালের মে থেকে ১৯৭৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক। তার কর্মজীবনে তিনি স্থাপনা ও প্রকৌশল বিষয়ক কনসালট্যান্সি ফার্ম প্রকল্প উপদেষ্টা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।

ইয়াফেস ওসমান ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি দ্বিতীয়বারের মত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। ৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানসহ চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দিলে ঐ দিনই তারা পদত্যাগ পত্র জমা দেয় এবং ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে তাদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে গেজেট প্রকাশিত হয়। তিনি ২০১৯ সালের ৭ই জানুয়ারি টানা ৩য় মেয়াদে পুনরায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন।

সিলেট অঞ্চলের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

ইমরান আহমেদ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী। একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের একজন সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় রাজনীতিবিদ। তার নির্বাচনী আসন সিলেট-৪।

ইমরান আহমদ ১৯৪৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভারতের আম্বালায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্যাপ্টেন রশিদ আহমদ এবং মাতা কমরুন নেছা। তার বাড়ি সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুরে। তিনি ১৯৬৪ সালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এবং ১৯৬৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয়ে স্নাতক সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইমরান আহমদ শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বারা প্রভাবিত একজন রাজনীতিক। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও জনসেবার সঙ্গে সরাসরি জড়িত আছেন। ইমরান আহমদ তৃতীয় (১৯৮৬), পঞ্চম (১৯৯১), সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ উপনির্বাচন, নবম (২০০৮), দশম (২০১৪)এবং একাদশ জাতীয় সংসদ (২০১৮) নির্বাচনে সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদে লাইব্রেরি কমিটি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনকালীন সময় মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইমরান আহমদ সিলেট-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৭২টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী দিলদার হোসেন সেলিম ৯৩ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়েছিলেন। দিলদার হোসেন সেলিম বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

এমপি ইমরান আহমদ একাদশ সংসদের মন্ত্রিপরিষদে প্রথমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও পরে মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
ইমরান আহমেদ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার একটি চা বাগান ও কনসালটেন্সি ব্যবসা আছে। তিনি সিলেট অঞ্চলের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তিনি ১৯৭০ সালে জেমস্ ফিনলের চা বাগানে তার কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি শ্রীপুর টি গার্ডেন' নামে নিজের চা বাগান পরিচালনা করছেন।

ইমরানের স্ত্রী ড. নাসরীন আহমাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্য পদে আছেন। তারা এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: