নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনায়: ফারুক খান এমপি
মেহের মামুন, ( গোপালগঞ্জ ) :
আমাদের জন্য ভালো খবর হচ্ছে যে এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে পেরেছি। এবং আপনারা তাদেরকে এমনভাবে পরাজিত করেছেন যে তাদের ষড়যন্ত্র ধুলিসাৎ হয়েছে। কিন্তু তারা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে তাদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করবো এই বিজয়ের মাধ্যমে আমরা মুকসুদপুরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং উন্নয়নের গণজোয়ার বয়ে যাবে।
আমি শুধু এমপি নই এই মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসাবে আপনাদের কথা দিচ্ছি এই উপজেলা পরিষদ আপনাদের পাশে থাকবে।
আপনার যখন আপনাদের এলাকায় উন্নয়ন পরিকল্পনা করবেন তখন উপজেলা পরিষদ এবং সরকারী যে বরাদ্দ থাকবে আপনারা তার শতভাগ পাবেন। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, উন্নয়নের আগে হচ্ছে রাজনীতি আপনারা সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারাই আমাদের (১৭ ডিসেম্বর) আগামীর শক্রবার সম্বল। আপনাদের তৃনমূলের নেতৃত্বই আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শুক্রবার সকালে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুকসুদপুর ইউপি নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আসলে এখনো আমাদের দেখতে হয় দেশের মধ্যে মিরজাফরদের পদচারনা। মিরজাফররা শেষ হয়না এটা আমাদের অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এরাই কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে। এরাই আমাদের মা-বোনদের পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছে। এদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশে আলবদর আলসামস তৈরি হয়েছে। কখোনো প্রত্যক্ষ ভাবে, কখোনো পরোক্ষভাবে।
এবং এরাই হলো যারা দিনের বেলায় বক্তব্য করেছে, এবং রাত্রি বেলা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে নৌকার বিরোধীতা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে, জননেত্রী শেখ হাসিনার এগিয়ে যাওয়ার উন্নয়নের বিরুদ্ধে, টাকার বিনিময়ে তারা মানুষকে প্রতারিত করে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আপনারা কিছুদিন আগে টেলিভিষনে দেখেছেন যখন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশের র্যাবের ৭ জন কর্মকর্তাকে ভ্রমনে নিশেধাজ্ঞা দিয়েছেন, বিএনপির মির্জা ফখরুল এবং তাদের সাথে যারা আছেন মাহমুদুর রহমান মান্না, তারা এমন বক্তব্য দিয়েছে মনে হয়েছে তারা আনন্দে মরে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে আমেরিকা, আর উনারা খুশিতে বগল দাবড়াচ্ছে, এখন বোঝেন এদেরই দোষর হচ্ছে মুকসুদপুর কাশিয়ানীসহ দেশের বিভিন্ন যায়গায় এরাই ষড়যন্ত্র করছে।
যখনই বাংলাদেশ এগিয়ে যায়, যখনই আমরা বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরি, যখনই আমাদের বিজয় দিবস আসে, যেখানে আমরা বিজয় পালন করি। তখনই তারা পেছন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করে। অর্থ হোক, মিথ্যা কথা হোক, এভাবে তারা দেশের মানুষকে পেছন দিকে নিয়ে যায়। খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যখন দেখি আমাদের দলের বিভিন্ন পদে যারা বসে আছে তারাও এর সাথে জড়িত।
যাই হোক আপনার যারা এখানে আছেন তারা এই নির্বাচনে প্রমাণ করেছেন মুকসুদপুর আওয়ামী লীগের ঘাটি। যারা ভোট দিয়েছেন অধিকাংশ তো এখানে নেই আমি আপনাদের মাধ্যমে মুকসুদপুুর এবং কাশিয়ানীর সকল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে যারা বিশ্বাস করে তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ যানাই। আপনারা যারা এখানে উপস্থিত আছেন আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবরা, ইউপি সদস্য এবং নারী ইউপি সদস্য আপনাদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আপনাদের আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। উপরের ষড়যন্ত্র দেখাযায়, ভেতরের ষড়যন্ত্রটা আপনারা দেখেছেন। আপনাদের নির্বাচনের সময় যখন আপনারা গ্রামে গ্রামে ভোটারদের কাছে গেছেন তখন আপনারা দেখেছেন আপনাদের নিজেদের চোখ দিয়ে কিভাবে আমাদের ভেতর থেকে আমাদের ক্ষতি করেছে।
এবং আপনাদের কারনে তাদের ষড়যন্ত্র প্রায় শেষ হয়েছে। তারা বাইরে গুজব ছড়িয়ে দিয়েছিলো যে মুকসুদপুরে মাত্র তিনটা আসন নাকি নৌকা পাবে। আর বাকি সব আসন তারা জিতবে। এখানে আমরা আর তারা বলে কোন কথা নেই, আমি যানি মুকসুদপুরে ৯৯ ভাগ লোক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পক্ষের লোক, স্বাধীনতার বিপক্ষের লোক নয়। কিন্তু দুঃখ লাগে যখন এই লোকগুলি রাতের অন্ধকারে বিএনপি জামাতের লোকদের কাছ থেকে টাকা খায় এবং তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য চেষ্টা করে যায়। আমরা সকলে মিলে একসাথে শক্ত হাতে তাদের প্রতিহৃত করবো ইনশাআল্লাহ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভপতিত্ব করেন মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুকসুদপুর পৌর মেয়র এ্যাড. আতিকুর রহমান মিয়া। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর রহমান টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ সাব্বির খান, সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য রেহানা আক্তার।
এসময় মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এসময় মুকসুদপুর উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের ১৩ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।