ফেরি চলাচলের সময় ২ ঘন্টা কমলো, বাড়লো ভোগান্তি
আরাফাত হাসান, (মাদারীপুর):
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচলের সময়সীমা দুইঘন্টা কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করছে। এর আগে ভোর সাড়ে ৬ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করতো। বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে,'কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরি চলাচলের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে ৮ ঘন্টা ফেরি চলাচল করবে। নৌরুটে কদম, কুঞ্জলতা, বেগম সুফিয়া কামাল ও বেগম রোকেয়া নামের চারটি কেটাইপ ফেরি চলাচল করছে।'
ঘাটের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভোরে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় পদ্মাসেতুর নিরাপত্তাজণিত কারণে ভোর সাড়ে ৬ টার পরিবর্তে সকাল ৮ টা থেকে ফেরি চলাচল করছে। এবং বিকেল চারটায় উভয় ঘাট থেকে সর্বশেষ ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে ফেরি স্বল্পতার কারণে ভোগান্তি লেগেই রয়েছে। আগে ১০ ঘন্টা ফেরি চলাচল করেও ঘাটে আসা সকল যানবাহন পার করতে পারেনি। এখন ৮ ঘন্টাতে আরো কম সংখ্যক যানবাহন পার করা ছাড়া কোন উপায় থাকছে না। প্রতিদিন শতশত গাড়ি পদ্মা পার হতে ব্যর্থ হবে। ফলে ভোগান্তির মাত্রা আরো কিছুটা বেড়ে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার ঘাটের কর্মকর্তারা বলেন,'কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতেই আমরা ফেরি চালিয়ে থাকি। চারটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার বেশ কষ্টকর। তবে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও অসুস্থ্য থাকলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পার করে থাকি। যাতে করে তারা ভোগান্তিতে না পরে। এছাড়া অসংখ্য গাড়ি দিন শেষে পার করা সম্ভব হয় না।'
যানবাহনের চালকেরা জানান,'নৌরুটে ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না। এখন সময় ২ ঘন্টা কমানো হয়েছে। ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হলে কিছুটা স্বস্তি মিলতো।'
এদিকে ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে রোববার(৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে শিবচরে। ফলে নৌরুটে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। নৌযান চলাচল করলেও লঞ্চঘাট যাত্রী শূন্য বলে জানা গেছে। এছাড়া ফেরিঘাটে পারের অপেক্ষায় শতাধিক যানবাহন আটকে আছে বলে ফেরিঘাট সূত্র জানিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো.সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন,'সারাদিনে এখন ৮ ঘন্টা ফেরি চলছে। অনেক যানবাহন শেষ পর্যন্ত আমরা পার করতে পারি না। তবে জরুরী যানবাহন অগ্রাধিকার দিয়ে পার করা হচ্ছে।'