পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):
বগুড়ার ধুনট উপজেলার একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে মনিরুল ইসলাম নামে দশম শ্রেনীর নামে এক শিক্ষার্থীকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে উঠেছে। মাত্র ১০০ টাকা পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে না পারায় হতদরিদ্র ওই শিক্ষার্থীকে পেটানো হয়েছে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা অধ্যক্ষকে তার নিজ কার্যালয়ের ভেতর তালাবদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে দুই ঘন্টা পর ঘটনাস্থল থেকে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী বাদি হয়ে অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শনিবার সকাল ৯ টার দিকে ঝিনাই ইসলামিয়া সিনিয়র ফজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম ঝিনাই ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। সে ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে। দশম শ্রেনীর প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ২২০টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মনিরুল ইসলাম ১২০ টাকা পরিশোধ করেছে। অর্থিক অনটনের কারণে বাকি ১০০ টাকা পরিশোধ করতে পারছে না ।
এ কারনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ শনিবার সকাল ৯ টার দিকে মনিরুল ইসলামকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এসময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয় অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে পৌছে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহকে তার অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে শনিবার দুপুর ১টার দিকে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। তবে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহর আগামী (২৮ নভেম্বর ২০২১) ধুনট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহন কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ বলেন, পরীক্ষার ফি চাওয়ার কারণে মনিরুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে আমার সাথে খারাপ আচরন করায় দুটি পেটোন মেরেছি।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্ত ইউপি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন পর শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।