চরফ্যাশনে উপকূল দিবস পালিত, দিবসটি জাতীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবি
আমিনুল ইসলাম, (চরফ্যাশন) :
জলবায়ু-বিপন্ন উপকূল বাসীর সুরক্ষার জন্য জলবায়ুর ন্যায্যতার দাবি জোরালো হোক ৭০-এর ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রয়াত ব্যাক্তিদের স্মরণ এবং উপকূল দিবস উপলক্ষে ভোলার চরফ্যাশনে র্যালি,আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত।
১২ নভেম্বর শুক্রবার চরফ্যাসন প্রেসক্লাবের আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। চরফ্যাশন প্রেসক্লাব সভাপতি ও কুকরীমুকরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজনের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের বর্ননা দিয়ে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মনির আহমেদ শুভ্র, পৌর কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু, উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সভাপতি এম আবু সিদ্দিক, সাংবাদিক আমির হোসেন, কামাল গোলদার, জামাল মোল্লা, অশোক সাহা, মাইনুদ্দিন জমাদার, ইয়ুথ পাউয়ার ইন বাংলাদেশের সভাপতি মনির আসলামি, নারি নেত্রী মাহমুদা খানম মিলি, প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, অর্ধশত বছর আগের এই দিনের বেদনা বিধূর ইতিহাস বাঙালি জাতি আজো ভুলতে পারেনি। ১৯৭০সালের ১২নভেম্বর
সমগ্র উপকূল জুড়ে বয়ে যায় মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। প্রান বির্সজন দিয়েছে উপকূলের ১০ লক্ষাধিক মানুষ৷ ভেসে যায় গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাঠের ফসল এবং অসংখ্য গাছপালা, পশু-পাখি। পুরো উপকূল মুহুর্তে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়। উপকূলজুড়ে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে লাশ আর লাশ। লাশের গন্ধ আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার আকাশ-বাতাস। ভয়াল ১২ নভেম্বরকে জাতীয়ভাবে উপকূল দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানানো হয়। পরে জলোচ্ছ্বাসে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবু নাসের।