শিরোনাম

South east bank ad

সুজানগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

 প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সুশান্ত কুমার সরকার, (পাবনা) :

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি ও জাল ভোট প্রদান, আটক, কেন্দ্র দখলের মধ্য দিয়ে পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। কয়েকটি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র পরিদর্শণকালে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখেন এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কাচুরিয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত: ১০ জন আহত হয়। এসময় কিছু সময়ের জন্য কেন্দ্র ফাঁকা হয়ে যায় এবয় ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।

এই কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে দুপুর ২টার দিকে নৌকার সমর্থকরা দলবল নিয়ে কেন্দ্র দখল নেয়ার চেষ্টা বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় ভোট কেন্দ্রের বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে পর পর দু’টি ককটেল বোমা নিক্ষেপ করলে লোকজন দিগি¦দিক ছুঁটাছুটি করে।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, ককটেল বিস্ফোরণের সাথে সাথে হঠাৎ করে বহিরাগতরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে সংঘর্ষে বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়।

এদিকে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মধ্যমে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া এ প্রতিনিধি বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচিন্তপুর, তারাবাড়ীযা, কুড়িপাড়া, সাতবাড়ীয়া, চরপাড়া, চলনা, গোপালপুর কেন্দ্রসমূহে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ দেখতে পান।

সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ২,৭৭৮ ভোটারের মধ্যে ১,৮০৮ ভোট অর্থাৎ ৬৫% কাস্ট হয় বলে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ইডএম শফিউদ্দিন জানান। ১৩ নং তারাবাড়ীয়া কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর ২টার দিকে ১,৮১১ ভোটারের মধ্যে ১,২০০ ভোট কাস্ট হয়। এ কেন্দ্রে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৮৯৬। এখানে ভোট গ্রহণকারীদের অদক্ষতার অভিযোগ পাওয়া যায়। এমনটি সাংবাদিকদের কাছেও মনে হয়েছে। ভোট গ্রহণে ধীর গতি দেখা যায়। আমারা এসময় মহিলা ভোটারদের দীর্ঘ তিন লাইনে মহিলা ভোটারের প্রায় অর্ধেক দেখতৈ পাই। প্রশ্ন করা হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব ভোট কাষ্ট না হলে কী করবেন।

সেখানে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার জাফরুল ইসলাম বলেন, যত রাতই হোক গন্ডির মধ্যে প্রবেশকারীদের ভোট গ্রহণ করা হবে।’

পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, সুজানগরে ১০ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ কলে বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যেখানের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তাৎক্ষনিক পরিস্থিনি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, সুজানগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্নের লক্ষ্যে ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৯০০ পুলিশ ফোস, র‌্যাব, আনসার সদস্য ও সাদাপোশাকে সদস্য মোতায়েন থাকে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: