শিরোনাম

South east bank ad

প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শেরপুরের প্রতিমা শিল্পীরা

 প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

শেখ সাঈদ আহম্মেদ সাবাব, (শেরপুর) :

আর কয়েক দিন পরই মর্ত্যে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী দুর্গা। দিকে দিকে শরতের কাশফুল জানান দিচ্ছে- খুব কাছে এসে গেছে শারদীয় উৎসব। আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। তাই প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শেরপুরের প্রতিমা শিল্পীরা। তবে রং, তুলির ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়া ও প্রতিমা বানানোর মজুরি কম পাওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে।

জেলার সবচেয়ে প্রাচীন প্রতিমা তৈরি পল্লী উপজেলার বয়রা পালপাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যেন দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। সুনিপুণ হাতে রংতুলির ছোঁয়ায় দেবীকে রাঙিয়ে তুলতে ব্যস্ত শিল্পীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেউ কাঁদা তৈরি করছে, কেউ কাঁদা থেকে হাত-পা বানাচ্ছে আবার কেউ ব্যস্ত রং করায়। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরাও বাবার কাজে সহযোগিতা করছে। বছরের এই সময়টায় কাজের চাপ বেশি থাকায় বসে নেই গৃহিণীরাও। মাটি দিয়ে সুনিপুণ হাতে তৈরি করছেন কারুকাজময় অলংঙ্কার। আর সেই অলংঙ্কার প্রতিমার শরীরে জড়িয়ে দিয়ে সাজিয়ে তুলছেন অনন্যা রূপে।

দি নিউ সোনালী শিল্পালয়ের কর্ণধার প্রতিমা শিল্পী দিলীপ কুমার পাল বলেন, আমি ২৫ বছর এর বেশি সময় যাবত প্রতিমা বানাই। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও সকল ধরনের প্রতিমা আমরা তৈরি করি। এবার ৩৭ টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছি তবে করোনা মহামারি থাকায় পরিশ্রমের তুলনায় দাম সেই ভাবে পাচ্ছিনা। তবে কষ্টের পাশাপাশি আনন্দেরেও কোন কমতি নেই, কারন এটা আমার বাপ-দাদার পেশা। বংশ পরম্পরায় এই পেশাতে আমরা আছি তাই ঐতিহ্য ধরে রাখার স্বাথের্ এই কাজ করছি।

রবি দাস নামে এক প্রতিমা শিল্পী বলেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে আমাদের খরচও বেড়েছে। কিন্তু পারিশ্রমিক তেমন একটা বাড়েনি। বছরের অনেকটা সময় আমাদের অলসভাবেই কর্মহীন ভাবে থাকতে হয়। বছরের চার মাস থাকে প্রতিমা তৈরির কাজ। উপযুক্ত পারিশ্রমিক না পেলে এই পেশা তাদের ছাড়তে হবে বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, এক সময় এই এলাকায় অনেক মানুষ এই পেশার সাথে জড়িত থাকলেও এখন হাতে গুনা কয়েকজন আছে। তাই এই পল্লীকে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। এ দিকে পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গোৎসব পালনে সব প্রস্তুতির নেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী ও পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সাহা এবং করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হলেও জেলায় শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়েই পূজা উদযাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, এবার শেরপুর জেলা সদর উপজেলাসহ মোট পাঁচ উপজেলায় ১৫১টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬৬, নকলায় ১৯, নালিতাবাড়ীতে ৩৭, শ্রীবরদীতে ৯ ও ঝিনাইগাতীতে ২০ টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: