শিরোনাম

South east bank ad

সাতছড়িতে বনাঞ্চল রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ

 প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

শেখ জাহান রনি, (মাধবপুর) :

হবিগঞ্জের মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার অরণ্যে ঘেরা সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল পশুখাদ্য উৎপাদন ও বনাঞ্চল রক্ষায় বিভিন্ন কমর্সূচি নিয়েছে বন বিভাগ।

সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জসুত্রে জানা যায়, তেলমাছড়া বন বিট ও সাতছড়ি বন বিটে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও পশু খাদ্য উৎপাদন ও বনাঞ্চল বৃদ্ধির লক্ষে " টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় ৩টি নার্সারিতে ২ লাখ ২৮ হাজার চারা উৎপাদন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি নার্সারিতে ৩০হাজার বিরল প্রজাতির চারা ও দুটি নার্সারিতে ১লাখ ৯৮হাজার দেশীয় প্রজাতির চারা রয়েছে। বিরল প্রজাতির মাঝে আছে উরিআম,কামদেব,তেলসুর, বাশপাতা, পিংজাম, বৈলাম, ডেউয়া, রক্তন,ফিফটি, নারিকেলি, মহুয়া ,কাজুবাদাম, কুম্বি সহ আরো অনেক প্রজাতি।দেশীয় প্রজাতির মাঝে আছে আমলকি,হরিতকি,বহেরা, চাপালিশ, জাম,ছাতিয়ান, কাঠবাদাম, শিমুল, মান্দার, পেয়ারা, পলাশ, বট, ডুমুর, কদম ইত্যাদি।


সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান,২০-২১অর্থ বছরে তেলমাছড়া বন বিটে ৪৫ হাজার ও সাতছড়ী বন বিটে ৪৫ হাজার মোট ৯০ হাজার চার উৎপাদন করা হয়। ইতিমধ্যে তেলমাছড়া বন বিটে ২৫ হেক্টর ও সাতছড়ী বন বিটে ২৫ হেক্টর মোট ৫০হেক্টর জমিতে ৭৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ২১-২২ অর্থ বছরে দুটি বন বিটে ৬০ হেক্টর করে মোট ১২০হেক্টর জমিতে ১লক্ষ ৯৫হাজার চারা রোপণ করার পরিকল্পনা আছে। সেই লক্ষ্যে ২ লাখ ২৮ হাজার চারা উৎপাদন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন সঠিক পরিকল্পনার ফলে বর্তমানে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যপ্রাণীরা যাতে আবাসস্থল ও খাদ্য সমস্যায় না ভোগে আমরা সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: