নিখোঁজ ব্যবসায়ীর গলিত মরদেহ আশুলিয়ায় উদ্ধার, আটক-৩
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার শিবগঞ্জের নিখোঁজ পান ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন (৪০) গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার মরাগাং নামক কাঁশবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জামাই-শ^শুরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম এতথ্য জানিয়েছেন।
মোফাজ্জল হোসেন শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের পার লক্ষ্মীপুর চাঁনপাড়া গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ২৩ দিন আগে গত ১৯ আগস্ট নিখোঁজ হন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, শিবগঞ্জ উপজেলার ভাসুবিহার গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া (৩০) ইসাহাকের ছেলে মিলন রহমান (৪৫) ও মৃত অমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০)। আব্দুস সামাদ ও রুবেল মিয়া সম্পর্কে জামাই-শশুর।
নিহত মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানান, তার স্বামী বিভিন্ন জেলা থেকে পান কিনে এনে হাট বাজারে বিক্রি করেন। গত ১৯ আগস্ট সকাল ৮টায় তিনি পান কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৯টায় তাকে ফোন করা হলে তিনি জানান একই উপজেলার মোকামতলা বাজারে আছেন। এরপর থেকে মোফাজ্জল হোসেনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে গত ২৩ আগস্ট শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
রাশেদা বেগম বলেন, তার স্বামী মোফাজ্জল একই গ্রামের রুবেলের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতো, একারণে রুবেলের বাড়িতে গিয়ে তাকেও না পাওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন রুবেলকে খোঁজ করতে থাকে। পরে গ্রামবাসী গত ৯ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট থেকে রুবেলকে ধরে নিয়ে এসে পুলিশে দেন। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবেল হত্যার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, যে তারা তিনজন মিলে মোফাজ্জল হোসেনকে মোকামতলা থেকে অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে আশুলিয়া মরাগাং নামক কাঁশবনে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) শিবগঞ্জ থানা পুলিশ আশুলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় কাঁশবন থেকে নিখোঁজ মোফাজ্জল হোসেনের গলিত মরদেহ ও হাড় গোড় উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মোফাজ্জল হোসেনকে মোকামতলা থেকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে তারা লাশ গুম করার জন্য ওই স্থানের ফেলে রাখে। তাদের নামে নিহতের স্ত্রী রাশেদা বেগম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।