মরদেহ উদ্ধারের দুই মাস পর হত্যা মামলায় আটক-১
নইন আবু নাঈম, (শরণখোলা) :
বাগেরহাটের শরণখোলায় বেল্লাল জমাদ্দার (৫৭) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের দুই মাস পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে মুন্না মীর (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার (৭সেপ্টেম্বর) আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত বেল্লাল উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের চালরায়েন্দা গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন জমাদ্দারের ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য শাহজাহান বাদল জমাদ্দারের ছোট ভাই। নিহতরে মেয়ে শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে সোমবার (৬সেপ্টম্বর) রাতে সন্দেহভাজন ছয় জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩জুলাই সকালে বেল্লাল জমাদ্দারের বাড়ির কাছে ডেসটিনির জোড়া সাইক্লোন শেল্টারের পাশের একটি ডোবা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার দুই মাস পর সোমবার সন্ধ্যায় ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসে থানায়। রিপোর্টে আঘাতজনিত কারনে বেল্লালের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
নিহতরে ছোট ভাই মো. শামছু জমাদ্দার জানান, আসামী মুন্না ও অন্যরা ডেসটিনি সাইক্লোন শেল্টারে বসে মাদকসেবনসহ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতো। তার ভাইও ওই সাইেেক্লান শেল্টারের একটি কক্ষে থাকতেন। তাদের এসব অনৈক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় তার ভাইয়ের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল তারা। পথের কাটা সরাতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে বেল্লাল জমাদ্দারের মৃত্যু আঘাতজনিত কারণ করা হয়েছে। নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে ছয় জনের নামে হত্যা মামলা দায়েরক করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত মুন্না মীর চালরায়েন্দা গ্রামের গ্রামের মজিবর মীরের ছেলে।