শিরোনাম

South east bank ad

সাইক্লোন সেল্টার ধ্বসে নিখোঁজ স্কুল ছাত্র এখনও উদ্ধার হয়নি

 প্রকাশ: ২৭ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ রাজু খান, (ঝালকাঠি) :

ঝালকাঠির বিষখালী নদীর ভাঙনে সদর উপজেলার দেউরী সাইক্লোন শেল্টার কাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’টি শ্রেণিকক্ষ ও একটি মসজিদ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের নিচে চাপা পড়ে নেয়ামাতুল্লাহ নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার (২৪আগস্ট) দুপুর ১২টায় নিখোঁজ হলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুত্র হারানোর শোকে কৃষক আব্দুল বারেক ও তার স্ত্রী ঘুম-খাওয়া বন্ধ করে প্রায় পাগল হওয়া অবস্থায় রয়েছে।

জানাগেছে, ঝালকাঠির বিষখালী নদীর আকস্মিক ভাঙনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১০মিনিটে সদর উপজেলার দেউরী সাইক্লোন শেল্টার কাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’টি শ্রেণিকক্ষ ও একটি মসজিদ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের নিচে চাপা পড়ে স্থানীয় কৃষক আবদুল বারেকের ছেলে আফসার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র নেয়ামতুল্লাহ নিখোঁজ এবং অপর একজন আহত হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন্নাহার, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টও (এনডিসি) আহমেদ হাছান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান শুভসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নলছিটি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আবুল হোসেন জানান, নিখোঁজ শিক্ষার্থীর উদ্ধারে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘঁটনার দিন বিকেল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ৩ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে কোন সন্ধান না পেয়ে তা সমাপ্ত করা হয়েছে।

পশ্চিম দেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক খান জানান, সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয় ভবনের পশ্চিম অংশের মাটি কিছুটা দেবে গেলে আমরা শিক্ষকরা কয়েকজন ছাত্র নিয়ে স্কুলের মালমাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে থাকি। দুপুর ১২টা ১০মিনিটের দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে ভবনের অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে নদীর পানিতে তলিয়ে যায়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী খাইরুল জানান, পাকা ভবনটি যখন দেবে যাচ্ছিল তখন আমার আত্মীয় নেয়ামতুল্লাহ মোবাইলে দৃশ্যটি ভিডিও করছিল। হঠাৎ করে ভবনের বড় অংশ ভেঙে পড়লে আমরা দৌড়ে সরে আসতে পাড়লেও নেয়ামত বিল্ডিংয়ে চাপা পড়ে পানির নিচে চলে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, নির্মানের সময় ঝুঁকিপূর্নভাবে বিষখালির ভাঙনের মুখে ছিল ভবনটি। বেজমেন্টে মাটি সরে যাওয়ায় এটি এখন শুধু মাত্র পিলারের উপর দাঁড়িয়ে আছে। ভবনের বাকি অংশ যে কোন মুহুর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবার আশংকা রয়েছে। এতে বিদ্যালয়টির প্রায় তিন শত শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পরবে, অন্যদিকে,ঝড়-বন্যায় পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের আশ্রয়ের কোন স্থান থাকবেনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী শাসনের কথা বললেও তা করা হয়নি।

পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন। নদীতে নিখোঁজ স্কুলছাত্র নেয়ামতুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের শ্বান্তনা দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘এখানে নদীর স্রোত অনেক বেশি। এর আগে এখানে ভাঙ্গন রোধে সাময়িকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল । কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত ছিল না। ভাঙ্গন রোধে এখানে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে জানাবো।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: