দুর্গাপুরে চল্লিশ দিনের কর্মসুচীতে উঠেছে জালিয়াতির অভিযোগ
দুর্গাপুর(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি:
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ৯নং ওর্য়াডের চল্লিশ দিনের কর্মসুচীতে ছাব্বিশ জন শ্রমিকের কাজ ১০জন করে মজুরী উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প কমিটির সভাপতি সংশ্লিস্ট ইউপি মেম্বার আব্দুল খালেক এর বিরুদ্ধে।
নেত্রকোণা জেলা প্রসাশক বরাবরে ঐ অনিয়মের অভিযোগ দাখিল করেণ স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো.আজিজুল ইসলাম। ২৩ আগস্ট সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী অভিযোগের সূরাহা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেণ এ প্রতিবেদকের কাছে। তবে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছেন এমন তথ্য নিশ্চিত করেণ উপজেলা প্রকল্প ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে,ঐ ইউনিয়নের লোহাচুরা গ্রামের চল্লিশ দিনের কর্মসুচীতে প্রায় ২বছর যাবৎ চাব্বিশ জন শ্রমিক তাঁদের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থেকে মজুরী উত্তোলন করে আসছে। তবে স্থানীয় ঐসব কর্মসুচীতে ছাব্বিশ জন শ্রমিকের বদলে নিয়মিত কাজ করে থাকেন মাত্র দশ জন। ঐ ষোল জন শ্রমিক কাজ না করেই জনপ্রতি ৫শ টাকা মেম্বারকে উৎকোচ দিয়ে মজুরী উত্তোলন করে আসছেন। প্রকল্প কমিটির সভাপতি হওয়ায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার আঃ খালেক ২ বছর যাবৎ এ অনিয়ম দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছেন। ঐ অনিয়মের বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার আঃ খালেক এর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কয়েকবার চেষ্টা করেও কোন বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেফতাহুল করিম জানান, চল্লিশ দিনের কর্মসূচীর অনিয়মের একটি অভিযোগ ইউএনও স্যার তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য আমাকে দিয়েছেন। আমি অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য নিয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যেই সরেজমিনে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলবো। পরে ঐ তদন্ত প্রতিবেদনটি স্যারের হাতে ন্যাস্ত করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রাজীব উল আহসান জানান, জেলা প্রসাশক স্যারের নির্দেশে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট প্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।