মুক্তাগাছায় টিকাদান কর্মসূচী শুরু
এইচ এম জোবায়ের হোসাইন
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড ১৯ মহামারী রোধকল্পে শনিবার একযোগে সারা দেশের ন্যায় মুক্তাগাছাতেও টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। বয়স সীমা ১৮ এর উপরে হলেই নিতে পারবে এই টিকা। সরকার প্রতিটি ইউনিয়নে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করেছে টিকা দান কর্মসূচি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে টিকা প্রদানের জন্য ১টি করে কেন্দ্র ও প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি বুথের মাধ্যমে এই টিকাদান কর্মসূচি পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করেছে। টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে প্রতিটি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে টিকা প্রদান করা করা হয়েছে। যারা পূর্বে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তারাই কেবল মাত্র টিকা পেয়েছেন। রেজিষ্ট্রেশন না থাকলে তাদেরকে টিকা প্রদান না করায় বিভিন্ন বাজারে কম্পিউটারের দোকানগুলোতে ভিড় জমেছে রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য। টিকা নিতে আসা অনেকেই দাবী জানিয়েছেন যাতে করে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয় সরকারীভাবে। কেননা বাহির / কম্পিউটারের দোকান থেকে রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে তাদেরকে ৫০ টাকা করে দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন এর প্রিন্ট কপি আনতে হচ্ছে। এছাড়াও পৌর এলাকায় তিনটি কেন্দ্র বসানো হয়েছে এবং প্রতিটি কেন্দ্রে ২০০ জনকে টিকা প্রদান করায় টিকা দিতে আসা অনেক লোক টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।
টিকা নিতে আসা লোক জনের দাবি সরকার যেন তৃনমূল পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমান টিকা সরবরাহ করার ব্যবস্থা করে। পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে মাএ ২০০ জনকে টিকা প্রদান করায় দেখা গেছে ওয়ার্ড কমিশনার ও তাদের পছন্দের লোক জনদের টিকার টোকেন সরবরাহ করার ফলে টোকেন সংগ্রহ করা নিয়ে গোলমালেরও সৃষ্টি হয়। সাধারন মানুষ সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকেও টোকেন পাননি বলে অভিযোগ করেন। পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের একজন সচেতন নাগরিক শাওন কৌরী জানান ২ ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে পেয়েছেন টিকা দেওয়ার টোকেন। তিনি আরও বলেন এই নিয়মে সাধারন নাগরিকের অধিকার খুন্ন হচ্ছে।এন এন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১,২,৩নং ওয়ার্ড বুথ) ঘুরে দেখা যায় টিকা নিতে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষ সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা না পেয়ে অবশেষে হতাশ হয়ে ফিরেছেন।