করোনায় সরব বরগুনার সাধারণ ব্যবসায়ীরা
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :
করোনার আতঙ্ক যেন সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে হার মেনেছে। বিক্রির জন্য অস্থির হয়ে উঠেছে এ সকল ব্যবসায়ীরা। বরগুনা শহরের গার্মেন্টস পট্টি, জুতা পট্টি ও বানিয়াতি পট্টিতে দেখা গেছে অর্ধেক শাটার উঠিয়ে বিক্রির জন্য খদ্দেরকে ডাকছে।
করোনা নামক কোন একটি মহামারী বিশ্বজুড়ে ভর করছে, এ যেন তাদের কাছে কিছুই নয়। কঠোর বিধি-নিষেধকে উপেক্ষা করে এমনভাবে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এসকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। অন্যান্য দিনের মতো ভিড় জমে জুতো ও গার্মেন্টসের দোকানগুলোয়।
প্রতিটি দোকানের সামনে একজন করে লোক দাড়ানো থাকে। যে সর্বদাই নজর রাখে মোবাইল কোর্ট কিংবা প্রশাসনের কোন কড়া নজরদারির উপরে। প্রশাসনিক কোন গাড়ি দেখলে সাথে সাথে খবর পৌঁছে যায় দোকানের মধ্যে। এরপরই শাটার বন্ধ করে দেয়া হয়। নিশ্চুপ অবস্থায় দোকানের মধ্যে অবস্থান করে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুজনেই।
এখন শুধু চোর-পুলিশ নয় বরং করোনা নামক মহামারীর সাথে মশকারি করছে সাধারণ জনগণ। ফলে করোনাও ছেড়ে যাচ্ছে না দেশের মানুষের মায়া ত্যাগ করে।
একটি সচেতন মহল বলছেন, সরকারের দেয়া বিধি-নিষেধ যদি শুরু থেকেই মানা হতো তাহলে এতো বড় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতো না দেশের মানুষের। বেগ পেতে হতো না জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। এসকল অসচেতন ব্যক্তিদের কারণে করোনার ঝুঁকিতে পড়ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ দেশের প্রায় প্রতিটি পরিবার।
তারা আরো বলছেন, কেবল অর্থদণ্ড নয় বরং মফস্বলের জেলাগুলোতে দণ্ডাদেশ প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত। নয়তো সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা সচেতনতার কোন বালাই আসবেনা। প্রতিদিন গুনতে হবে লাশের মিছিল। সাধারণ মানুষের সচেতনতাই পারে এই করোনা মহামারী থেকে দেশকে রক্ষা করতে।