শিরোনাম

South east bank ad

কামারশালায় করোনার অসুখ

 প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সুনান বিন মাহাবুব (পটুয়াখালী):

পটুয়াখালীতে উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হবে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। লক ডাউন শিথিলের পর থেকে ঈদুল আযহা উপলক্ষে পটুয়াখালীতে স্বল্পমাত্রায় বিক্রি হয়েছে ছুরি-চাকু-চাপাতি ও মাংস কাটার কাঠের। তবে শেষ মূহুর্তে ব্যস্ততায় সময় পার করলেও তেমন বেচা-বিক্রি করতে পারেনি কামারশালার এসব ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহজুড়ে কামারশালা খোলা থাকলেও করোনা সংক্রমিত হবার আতঙ্কে ক্রেতা সমাগম কম ছিল দোকানে।

জানা গেছে, কোরবানীর পশু জবাইয়ের পর খাইট্টা বা কাঠের টুকরা মাংস কাটার সহযোগী উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তাই খাইট্টাগুলো অটোরিকশা এবং ভ্যানে করে ক্রেতাদের বাসায় পৌঁছে দিবে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, আকার অনুযায়ী একেকটি খাইট্টা বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে। কিন্তু আগের ঈদের চেয়ে এই বছর কোরবানীর ঈদে খাইট্টা বিক্রি কম হয়েছে। পটুয়াখালী সরকারি কলেজ সংলগ্ন কসাই জয়নাল বলেন, ‘এবছর কোরবানিতে মাংস কাটার কাজ কম। তাই ছুরি-চাপাতির সাথে খাইট্টার চাহিদাও এবার কম লক্ষ করা গেছে। গত বছর ঈদে আমরা একদিনে ৩ টি গরু কাটার কাজ করেছি। এবার করোনার প্রভাবে সব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে’।

এদিকে কোরবানির গরু-খাসি কাটার কাজে ব্যবহৃত দা-বটি-ছুরি-চাকু তৈরিতে পটুয়াখালীর নিউমার্কেট, পুরানবাজার এলাকার কামারশালার কামারিরা বেশ কিছুদিন ব্যস্ত সময় পার করলেও বেচা-কেনা আগের মতো ছিল না। পটুয়াখালী নিউমার্কেট এলাকার কামার দেবাশিস বলেন, ‘বছরের মূল রোজগার হয় কোরবানির ঈদে। কিন্তু এই ঈদে ছুরি-চাকু বিক্রি নেই বললেই চলে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ভালো মানের লোহা পাওয়া কঠিন। লোহার দরও বেড়েছে। ঈদের এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে ছুরি-চাকু বানানোর কাজ শুরু করেছি কিন্তু মাত্র কয়েকদিনে তেমন বিক্রি করতে পারিনি’।

পটুয়াখালীর স্থাণীয় বাসিন্দাদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, গত বছর থেকে ঈদের আনন্দ নেই মানুষের মনে। মহামারিতে বেড়েছে অর্থনৈতিক সংকট। করোনার কারনে ঈদ বিষাদে পরিণত হয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: