শিরোনাম

South east bank ad

ঋণগ্রহীতার আর্থিক প্রতিবেদন যাচাই করবে ব্যাংক

 প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

দেশে ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাংকের কাছে ঋণগ্রহীতাকে আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। তবে ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ভুয়া আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অনেক নজির রয়েছে।
এ অবস্থায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঋণ অনুমোদন বা নবায়নের ক্ষেত্রে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের মাধ্যমে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও হালনাগাদ বিধিবদ্ধ নিরীক্ষা প্রতিবেদন বাধ্যতামূলক করে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এরই ধারাবাহিকতায় এবার দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিবিএস) ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ঋণগ্রহীতার জমা দেওয়া আর্থিক প্রতিবেদন যাচাই করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত মঙ্গলবার ৬ জুলাই ২০২১ইং এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলী আকবর ফরাজীর সই করা এ সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন করা প্রতিষ্ঠানের জমা দেওয়া আর্থিক প্রতিবেদনটি অনুমোদিত নিরীক্ষা ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষিত ও সই করা কিনা, তা ব্যাংক যাচাই করে। তবে নিরীক্ষা ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনগুলো আইসিএবির ডিভিএস সিস্টেমের মাধ্যমে যাচাই করার সুযোগ রয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে ব্যাংকিং খাতে অধিকতর ঋণ শৃঙ্খলা ও খেলাপি ঋণ কমাতে ঋণগ্রহীতার জমা দেওয়া আর্থিক প্রতিবেদন ডিভিএস সিস্টেমে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা, সেটি ব্যাংককে যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।
এক্ষেত্রে আইসিএবি ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করবে। এজন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোকে ডিভিএস ব্যবহারের জন্য নিজস্ব উদ্যোগে আইসিএবির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জারি করা এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া বা নবায়নের জন্য জমা দেওয়া আর্থিক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)।
তবে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রণীত ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের মাধ্যমে নিরীক্ষিত হালনাগাদ আর্থিক বিবরণী অনেক সময় জমা দেওয়া হয় না। বিপরীতে ম্যানেজমেন্ট অডিট রিপোর্ট, রিভিউ রিপোর্ট নামে ভিন্ন আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে ভিন্ন ভিন্ন নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে এমন ধরনের প্রবণতা রোধ ও আর্থিক খাতে আরও স্বচ্ছতা আনার উদ্যোগ নেয় এফআরসি। এজন্য গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয় এফআরসি।

চিঠিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো জনস্বার্থ সংস্থাকে ঋণ অনুমোদন বা নবায়নের সময় বাধ্যতামূলকভাবে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের মাধ্যমে করা নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা নেওয়ার কথা বলা হয়।
এক্ষেত্রে নিরীক্ষিত ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রণীত হালনাগাদ বিধিবদ্ধ নিরীক্ষা প্রতিবেদন নিতে বলা হয়। একই সঙ্গে এ প্রতিবেদন ঋণ ফাইলে সংরক্ষণের কথা বলা হয়। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে সার্কুলার জারির অনুরোধ জানায় এফআরসি।
এছাড়া ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, আর্থিক বিবরণীর স্বচ্ছতা যাচাইয়ের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে জনস্বার্থ সংস্থার আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কিত কোনো তথ্য চাইতে পারে এফআরসি। এ ক্ষেত্রে সেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যাতে এফআরসির পক্ষ থেকে চাওয়া তথ্য দিয়ে সংস্থাটিকে সহযোগিতা করে, তার ব্যবস্থা করার জন্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছিল এফআরসি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: