ফুলবাড়িয়ায় দপ্তরীর বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
মো: আব্দুস ছাত্তার (ফুলবাড়িয়া):
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাক্তা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে একই স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের পক্ষে মো: রফিকুল ইসলাম নামের একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, সরকার দ্রুত শিক্ষার্থীদের হাতে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছানোর লক্ষে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে। গ্রামের সহজ সরল নিরক্ষর মানুষ এর ভোক্তভোগি। এক শ্রেণির প্রতারক সব সময় সুযোগ খোঁজে বেড়ায়। এদের টার্গেট থাকে নিরীহ মানুষ। প্রতারক চক্রের একজন নিশ্চন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী (দপ্তরী) মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান এবং নিজেকে অনেক প্রতাপশালী মনে করেন দেলোয়ার। অনেক উৎকোচের বিনিময়ে নিজের চাকুরীটা মানুষের হাতে পায়ে ধরে ভাগিয়ে নিয়েছেন। সেই উৎকোচের টাকা যোগান দিতে বেপরোয়া দেলোয়ার। গ্রামে সহজ সরল মানুষ আছে, তবে এত বোকা না! তারা এখন অফিস আদালত সম্পর্কে অনেকটাই সচেতন। এমনই এক ঘটনার মুখোমুখি দেলোয়ার। গত মাস খানেক যাবত প্রাথমিক লেভেলের শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোছাঃ রিতিকা (৫ম), হাসান (৩য়) ফরহাদ (১ম শ্রেণী) এর অভিভাবক মোঃ রফিকুল ইসলাম। রফিকুলের স্ত্রী ফরিদা পারভীন ও কুদ্দুছের স্ত্রী দপ্তরী দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চান তাদের উপবৃত্তির টাকা আসছে কি না? দেলোয়ার বলে, মোবাইলটা দেন। মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে একাউন্ট চেক করে বলেন টাকা তো আসছে? তবে টাকা নিশ্চিন্তপুর বাজারের রুবেলের দোকান থেকে তোলতে হবে। সেখানে গেলে রুবেল ১৯০০শত টাকা দিতে চায়। কিন্তু ফরিদা বলেন, ৪জন ছাত্রর টাকা ১৯শ ক্যা। তারা টাকা না নিয়ে চলে আসেন। ঘটনা স্বামী রফিকুলের কাছে খুলে বললে, এনামুল নামের আরেক দোকানদারের কাছে যান, সেখানে মোবাইল চেক করে দেখা যায়, একটা মোবাইল নম্বরে টাকা টান্সফার করা হয়েছে। সেটি দেলোয়ারের নম্বর। এভাবে ৯জন শিক্ষার্থীর একাউন্ট থেকে ৩০হাজার টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে দেলোয়ারের নেতৃত্বাধীন চক্র। এ ছাড়াও নাম না জানা অনেক শিক্ষার্থীর একাউন্ট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে উপবৃত্তির টাকা। এই চক্রে দেলোয়ার ও রুবেল ছাড়াও আরও সদস্য থাকতে পারে।
মুঠোফোনে দেলোয়ার জানান, আমার আশ পাশের অনেক লোক আমাকে টাকা উঠাতে বলে, আমিও এনে দেই। রফিকুল আমাকে টাকা উঠাতে বলেছিল কিন্তু টাকা পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় সে আমার উপর চটে গেছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি অভিযোগ করে নিরপত্তাহীনতায় ভুগছি, বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করছে। আমাকে এক ঘরে রাখার চেষ্টাও করছে তারা।