সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সরকারি অনুদান বিতরণে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
এমএ জামান (সাতক্ষীরা):
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে কালিগঞ্জের সীমান্তবর্তী হাড়দ্দহা বেড়িবাঁধ মেরামতে শ্রমিকদের সরকারি অনুদান বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকার বেশ কিছু শ্রমিক। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস'র প্রভাবে হাড়দ্দহা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য সহানীয় কয়েক গ্রামের অসংখ্য মানুষ কাজ করেন। যারা প্রকৃত শ্রমিক তাদের উপজেলা প্রশাসন মাস্টাররোল বানিয়ে সরকারী অনুদানের তালিকা করতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইউপি চেয়ারম্যান কয়েকশত শ্রমিকদের নিকট থেকে আইডি কার্ডের ফটোকপি গ্রহণ করে ইচ্ছাকৃত তালিকা তৈরি করে তাদের সরকারীভাবে নগৎ অর্থ দেওয়া হয়। কিন্ত ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই প্রতারণা করে বসন্তপুর গ্রামে যারা কাজ করেনি এমন ১'শ ৪৬ জন, হাড়দ্দহা গ্রামে ১'শ ৩০ জন, শীতলপুর গ্রামে ৭০ জন, ছনকা গ্রামে ৬৫ জন ও গণপতি গ্রামে মাত্র ১৫ জনকে সরকারী অনুদানের তালিকাভুক্ত করেন এবং রবিবার প্রত্যেককে ৫'শ টাকা হারে বিতরণ করেন। কিন্ত এতে অনেক প্রকৃত শ্রমিক তাদের সরকারী ন্যায্য অনুদান পাইনি বলে এই অভিযোগ। অভিযোগকারী হাসানুর রহমান, জসিম, সাদিকুল ইসলাম, মামুনসহ অনেকেই জানান, আমরা ভাঙ্গন এলাকায় বাঁধ মেরামতের কাজ করে সরকারি অনুদান পায়নি। যারা প্রকৃত শ্রমিক ও যারা ট্রলিতে বালুর বস্তা পরিবহন করেছেন তাদের নাম বাদ দিয়ে ইচ্ছামত নাম বসিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তিনি স্বজনপ্রীতি করেছেন, এমনকি এক নাম বার বার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়টি সম্পর্কে মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর গাইন বলেন, সরকার যেমন অনুদান দিয়েছে সবাইকে তেমন ভাবে বিতরণ করেছি। এসময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদককে অকথ্য ভাষা ও গালিগালাজ করেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন কেটে দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ হয়েছে। আমিও অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।