শিরোনাম

South east bank ad

ছিলাম ভিখারি, এখন লাখপতি

 প্রকাশ: ২০ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

তানভীর আঞ্জুম আরিফ (মৌলভীবাজার):

খোলা আকাশের নিচে যার দিন কাটতো সেই বৃদ্ধা ভিখারি শিলা দেবী প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে আনন্দ অশ্রুতে ভাসছেন। নিজের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ পেয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রীকে সাতকড়া রান্না করে খাওয়াতে চাইলেন তিনি। ঘর পাওয়ার এই বৃদ্ধার আনন্দ অশ্রুদে আবেগ আপ্লুত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

রোববার (২০ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির মালিকানাসহ ঘর দেন তিনি।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় প্রান্ত থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা, কুড়িগ্রামের সদর, শেরপুরের ঝিনাইগাতি, চট্টগ্রামের রাংগুনিয়া ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। সারাদেশের ৪৫৯টি উপজেলা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩০০টি পরিবারের ১ হাজার ৫০০ মানুষ ও ৬০০ শিশু এই আশ্রায়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী।

এ সময় উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি গ্রামের শিলা দেবী তার নতুন ঘরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দাওয়াত দেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে শিলা দেবী বলেন,‘আমি ঘর পেয়ে খুবই খুশি। আমি আগে ছিলাম রাস্থার ভিখারি, এখন আমি লাখপতি। শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য আমি এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। ভগবান তাকে দীর্ঘজীবী করুন। আমি এই কামনা করি। আর কামনা করি বঙ্গবন্ধু আত্মা, আমার মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা- এরা যেন শান্তি পায়।’

এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন শিলা দেবী। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘তারা যেন স্বর্গ থেকে দেখতে পায় আমরা সুখি হয়েছি। আমি এখনও মা আপনার জন্য দু'টাকা করে বাতি জ্বালাই। এখনও প্রতিদিন আমি বাতি জ্বালাই, আমার বোন যেন সুখি থাকে। আমার বোনকে যেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করতে না পারে। আমার বোন যেন হাজার বছর বাঁচে, সেই কামনা করি।

তিনি বলেন, আমি যুদ্ধের সময়েও ভাবতে পারিনি যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধ বয়সেও আমাকে দেখে রাখবে। তাই আমি ভীষণ ভীষণ খুশি হয়েছি তার প্রতি। বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে আমার একটা দাবি, আমায় যে ঘর দিয়েছেন সেই ঘরে একবার আসবেন। আমি আপনাকে সাতকড়া দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়াবো। এই বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি, ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা মার্জনা করবেন।

শিলা দেবীর কান্নায় আবেগ আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অশ্রু সিক্ত হয়ে পড়েন। কথা বলা শেষে চশমা খুলে চোখ মুছতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনি খুব ভালো বক্তব্য রাখছিলেন, আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নেবেন। আমি যদি সুযোগ পাই নিশ্চয়ই আসার চেষ্টা করবো। আপনাদের যে অবদান, আপনাদের যে আত্মত্যাগ- এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই তো আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। আত্মত্যাগ কিন্তু বৃথা যায় না। আপনারা যারা ঘর পেয়েছেন সবাই ভালো থাকেন এই কামনা করি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: