শিরোনাম

South east bank ad

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা

 প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের ৭৫তম জন্মদিন ছিল গতকাল সোমবার ১৪ জুন ২০২১ইং তারিখ।বাংলা ভাষার শক্তিমান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের ৭৫তম জন্মদিনে বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)-এর পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং পরে কেক কাটা হয়।এসময় অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সেলিনা হোসেন ১৯৪৭ সালে রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রামে।
তিনি ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’ দিয়েই পরিচিত হতে বেশি পছন্দ করেন।তার উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সঙ্কটের সামগ্রিকতা। বাঙালিদের অহংকার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ নতুন মাত্রা যোগ করেছে তার লেখনিতে ।

সেলিনা হোসেন ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর আগে থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় তিনি উপসম্পাদকীয় বিভাগে নিয়মিত লিখতেন। কর্মরত অবস্থায় তিনি বাংলা একাডেমির 'অভিধান প্রকল্প', 'বিজ্ঞান বিশ্বকোষ প্রকল্প', 'বিখ্যাত লেখকদের রচনাবলী প্রকাশ', 'লেখক অভিধান', 'চরিতাভিধান' এবং 'একশত এক সিরিজের' গ্রন্থগুলো প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন।

২০ বছরেরও বেশি সময় বাংলা একাডেমির ছোটদের পত্রিকা 'ধান শালিকের দেশ' সম্পাদনা করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমির প্রথম মহিলা পরিচালক হন তিনি। ২০০৪ সালের ১৪ জুন চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
১৯৬৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি বেছে নেন কথাসাহিত্যকে। ১৯৬৯ সালে সেলিনা হোসেন প্রথম গল্পগ্রন্থ উৎস থেকে নিরন্তর প্রকাশিত হয়। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘জলোচ্ছ্বাস’ প্রকাশিত হয়। সেলিনা হোসেনের ‘নীল ময়ূরের যৌবন’ বাংলা ভাষার নিদর্শন চর্যাপদ ও চর্যাকারদের নিয়ে রচিত প্রথম উপন্যাস।

সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন।

২০১০ সালে কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

সেলিনা হোসেনের দুটি গ্রন্থ ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ এবং ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ দিয়ে চলচ্চিত্র এবং কয়েকটি গল্প নিয়ে নাটক নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া ২০০৫ সালে শিকাগোর ওকটন কলেজের সাহিত্য বিভাগে দক্ষিণ এশিয়ার সাহিত্য কোর্সে তার ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ উপন্যাসটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় একশত। ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি, কানাড়ি, রুশ, মালে, মালয়ালম, ফরাসি, জাপানি, ফিনিশ, কোরিয়ান প্রভৃতি ভাষায় সেলিনা হোসেনের বেশ কয়েকটি গল্প অনুবাদ করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেলিনা হোসেনের ‘যাপিত জীবন’ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ‘নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’ উপন্যাসটি পাঠ্যসূচিভুক্ত করা হয়। শিলচরে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি উপন্যাস এমফিল গবেষণাভুক্ত করা হয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: