শিরোনাম

South east bank ad

অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর ঋণ আদায় অগ্রগতি বিষয়ক ভার্চুয়াল পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 প্রকাশ: ১২ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-যাত্রাসহ ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছুতেই এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত তথা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে। তারপরও করোনা মহামারীর নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্যেও রাষ্ট্র খাতের অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও জনাব শামস্ -উল ইসলাম এর গতিশীল নেতৃত্বে ভার্চুয়াল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে সকল অগ্রণীয়ানদের উজ্জীবিত রেখে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার জন্য ক্লাস্টার ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে রিকভারি বুস্টআপ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১০/০৬/২০২১ তারিখ বৃহস্পতিবার অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর ঢাকাস্থ ৯টি কর্পোরেট শাখার শ্রেণিকৃত ও অবলোপনকৃত ঋণ আদায় অগ্রগতি বিষয়ক ভার্চুয়াল পর্যালোচনা সভা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যবসায়িক সূচক যেমন আমদানি রপ্তানি, রেমিট্যান্স, নন-ইন্টারেস্ট ইনকাম, ডিপোজিট এবং ঋণ ও অগ্রীমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সকল নির্বাহী ও কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা অবলম্বন করে কার্যক্রম চালানোর জন্য তাগিদ প্রদান করা হয়। বিশেষ করে খেলাপী এবং আটকে পড়া ঋণ কিভাবে আদায় করা যায়, তা কেইস টু কেইস ভিত্তিতে আলোচনা করে সমাধান দেওয়া হয়, যেখানে শাখা প্রধানসহ ঋণ কর্মকর্তাগণ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং শাখা প্রধানগণ আগামী ডিসেম্বর'২০২১ এর মধ্যে খেলাপী ঋণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। উক্ত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সময়ের অন্যতম সাহসী ব্যাংকার, বঙ্গবন্ধু কর্ণারের নন্দিত উদ্ভাবক, ব্যাংকের সুযোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম। তিনি তাঁর বক্তব্যে ব্যাংকের সামগ্রিক সফলতা, ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অগ্রণী ব্যাংক এর অবস্থান তুলে ধরেন। ব্যাংকের ডিপোজিট ১.০০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় তিনি সকল অগ্রণীয়ানদের শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, করোনার এই প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের ব্যাংকের বেশির ভাগ সূচক ভালো আছে, আরও দু'একটা সূচক রয়েছে যেখানে উন্নতি করতে পারলে ব্যাংকিং খাতে আমাদের মজবুত একটি অবস্থান তৈরী হবে ইনশাআল্লাহ। বিশেষ করে, খেলাপী ও অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায়ের জোরালো এবং বাস্তবসম্মত প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশনা প্রদান করেন। ঋণগ্রহীতাদের সাথে সরাসরি আলোচনায় বসে তাদের সমস্যাগুলো বুঝে আর্থিক সঙ্গতির বিষয়টি বিশ্লেষণ করে কেইস টু কেইস ভিত্তিতে ধিু ড়ঁঃ দিতে হবে। প্রয়োজনে কস্ট অব ফান্ড সংরক্ষণ করে সুদ মওকুফের মাধ্যমে ঊীরঃ ঢ়ড়ষরপু এর আওতায় গ্রাহকদেরকে ঋণ পরিশোধে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। বিশেষ করে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে বেশি আদায় করতে হবে এবং সেটি ব্যাংকের প্রফিট্যাবিলি বাড়াতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে। সভাপতির বক্তৃতায় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, রিকভারির জন্য কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই বা এটা কোন রকেট সায়েন্সও নয়। ব্যাংকার-কাস্টমার সম্পর্কের ভিত্তিতে কেইস টু কেইস বিবেচনায় কাস্টমাইজেশন এবং ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমে নিয়ম নীতির মধ্যে থেকে সুবিধা/কৌশল বের করতে হবে। সকল কাস্টমারের জন্য একই রকমের ট্রিটমেন্ট দেওয়ার জন্য বসে থাকলে চলবে না এবং সেটা ফলপ্রসূও হবে না। এক্ষেত্রে শাখা প্রধান ও ক্রেডিট অফিসারদের মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। এন এম রকিব উদ্দিন, এসপিও এর সঞ্চালনায় জুম ওয়েবিনার এ সংযুক্ত ছিলেন ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (সিএফও) মোঃ মনোয়ার হোসেন এফসিএ, মহাব্যবস্থাপক (ক্রওডিট), মহাব্যবস্থাপক ( ঋণ আদায়), মহাব্যবস্থাপক(ঈঅগখঈঙ), মহাব্যবস্থাপক( পিসিএমডি), মহাব্যবস্থাপক( গুলশান কর্পোরেট শাখা), ব্যাংকের সার্বক্ষণিক আইন উপদেষ্টা সহ ডিজিএম- রিকভারি,কর্পোরেট শাখা প্রধানগণ, বিভিন্ন স্তরের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: