রাজাপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ শেষের আগেই ভেঙেছে অবকাঠামো, মান নিয়ে ক্ষোভ
মোঃ রাজু খান (ঝালকাঠি):
ঝালকাঠির রাজাপুরে মুজিববর্ষের উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণকালেই ১১টি ঘরের অবকাঠামো ভেঙ্গে গেছে। উপজেলার গালুয়াদুর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সরকারের এমন মহতী উদ্যোগ এখন ভেস্তে যেতে বসেছে। উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যাদের জমি নেই ঘর তাদের জন্য মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় উপজেলায় ৩৩৩ টি পরিবারকে এ সুবিধার আওতায় আনা হবে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণের ব্যয় রাখা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ১১৫ টি গৃহ নির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাবি হস্তাান্তর করা হয়েছে। বাকি কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সরাসরি নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধান করেন। উপজেলার গালুয়া দুর্গাপর সরেজমিনে গেলে গোলাম মোস্তফা, মিয়া আব্দুল খলিল, দুলাল গাজী, মাওলানা অহিদুল ইসলাম জানান, পোনা নদীর পাড়ে নিচু জমিতে স্বাভাবিক জোয়ারেই পানিতে ডুবে যায়। এই নিচু জায়গায় আষাঢ়, শ্রাবন ও ভাদ্র এ তিন মাস সব সময় পানিতে ডুবে থাকে। পূর্ণিমান জোয়ারের স্রোতে নির্মাণাধীন স্থানে পানি উঠে এবং ঘরের ফাউন্ডেশন না থাকায় নিচের বালু পানিতে ভেসে গিয়ে ১১টি ঘরের বারান্দার বিভন্ন অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। নাম মাত্র বালু ভরাট করে সাথে সাথে ইট বিছিয়ে নির্মাণ কাজ করায় এমনটা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এছাড়াও বড়ইয়ার চল্লিশ কাহনিয়ায় একটি ঘরের অংশিক ভেঙ্গে গিয়েছিল যা ইতোমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। পানি উঠেছে অন্য গুলোতেও। কাজের মান খারাপ বলেও তারা অভিযোগ তুলেন। উপজেলা প্রশাসনের কাছে ঘরের জন্য আবেদন করা স্থানীয় বাসিন্দা মিয়া আবদুল খলিল জানান, নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্প এলাকায় আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র এই তিন মাস জলাবদ্ধতা থাকে। আবার জোয়ারের পানিতেও সর্বত্র ভরে যায়। এই ঘরগুলো যাঁরা বরাদ্দ পাবেন, তাঁদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। অপরদিকে যাদের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে তারা জানান, জমি নিচু হওয়ায় সামান্য জোয়ারেই ঘরে পানি উঠে। আষাঢ়, শ্রাবন ও ভাদ্র এ তিন মাস এখানে কিভাবে থাকবো এ নিয়ে এখন দুর্শ্চিন্তায় আছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোক্তার হোসেন জানান, আবাসন প্রকল্প এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি উঠেছে। পরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যে ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামত করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।