প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যার চেষ্টায় আসামী শাকের আলীকে গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ
গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ প্রকাশ্যে দিবালোকে বিকাল অনুমান ০৩:৩০ ঘটিকার সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নুরনগরের দুষ্কৃতিকারী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাকের আলী ও শাকের আলী, উভয় পিতা-সু সাহেব@জাহাঙ্গীর নামের দু ভাই একই গ্রামের সাচ্চু (৪০), পিতাঃ আরেফিন নামক এক ব্যক্তিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে গুলি করে গুরুতর জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণের পর এই ঘটনায় আহত ভিকটিম সাচ্চু প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি এখনো অসুস্থ এবং মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঘটনার পরপরই পুলিশি অভিযানে তাৎক্ষণিক বাকের আলী কে একটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার হয়। মূলতঃ ভিকটিমকে অস্ত্র দিয়ে যে গুলি করেছিল সেই শাকের আলী আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়। এতে স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক ও আশঙ্কা বিরাজ করছিল। ঘটনার পরপর যেহেতু শাকের আলী আগ্নেয়াস্ত্রসহ পালিয়ে যায় সেহেতু স্থানীয় লোকজন ধারণা করেছিল পুনরায় হয়তবা বড় কোন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। জনমনে এ ধরনের সৃষ্ট আতঙ্ক রোধকল্পে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ সদা জাগ্রত থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে পলাতক আসামী শাকের কে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করার জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।
তারই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর দিক নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান এর নেতৃত্বে এসআই আশিকুল ইসলাম, এস আই হাসানুজ্জামান সহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন গ্রাম থেকে ভোরের সময় পলাতক আসামী শাকের আলীকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামি শাকেরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন জাফরপুর পাওয়ার হাউজ এলাকায় তার চাচাতো ভাই সুমন(২৩) পিতাঃ মনা এর বসতবাড়ি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সুমনকে আটক করা হয়। এসময় আটককৃত আসামি শাকের আলী ও সুমনের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে সুমনের বসতঘরের খাটের তোষকের নিজ থেকে একটি 7.65 এম এম পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিনসহ ০৪ টি তাজা বুলেট উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। আটককৃত আসামি শাকের আলী ও তার চাচাতো ভাই সুমন বেআইনিভাবে লাইসেন্স ব্যতিরেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে। এ ঘটনায় দি আর্মস অ্যাক্ট ১৮৭৮ এর ১৯-এ মোতাবেক আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উৎসস্থল উদঘাটনে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার চৌকস টিম নিরবচ্ছিন্ন কাজ করছে।