আবারও ক্ষতির মুখে এভিয়েশনখাত
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে আবারও এক সপ্তাহের জন্য সাধারণ মানুষদের চলাচলার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ কারণে অভ্যন্তরীণ সকল ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। আর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আবারও ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বিমানখাত।
বাংলাদেশে ৩টি সংস্থা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান। বেসরকারি ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার।
বাংলাদেশ বিমান সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে ১০টি ফ্লাইট ছিল। করোনার কারণে এক সপ্তাহের সরকারি নিষেধাজ্ঞা সকল ফ্লাইট বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে সংস্থার কাছে নেই।
নভোএয়ার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন এয়ারলাইন্সটির ২৯টি করে রিটার্ন ফ্লাইট ছিল। এর মধ্যে কক্সবাজার ৮টা, চট্টগ্রাম ৬টা, যশোর ও সৈয়দপুর ৫টা করে, সিলেটে ৩টা, রাজশাহী ও বরিশালে ১টা করে ফ্লাইট ছিল। যা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
ইউএসবাংলা সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন আসা যাওয়া মিলে এয়ারলাইন্সটির ছিল ৭৪টি ফ্লাইট। কক্সবাজারে আসা যাওয়া ১২টা, চট্টগ্রামে ১৬টা, সৈয়দপুরে ১৬টা, যশোরে ১৬টা, রাজশাহী ৪, বরিশাল ৪ ও সিলেটে ৬টা।
এ বিষয়ে নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং মেজবাহ উল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিদিন অপারেটিং রেভিনিউ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা করে ক্ষতির সম্মুখিন হব। আগামীকাল থেকে সমগ্র সিটি করপোরেশনে বাস চলবে। তাহলে বিমান চলবে না কেন? বিমান হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। এটা বন্ধের কোন যৌক্তিকতা আমরা দেখি না। আমরা আসলেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি আগেও হয়েছি এখনও হচ্ছি।
বাংলাদেশ বিমানের ডিজিএম (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট প্রতিদিন দিনে গড়ে ১০টা করে। মানুষের জীবন রক্ষা করতেই এই বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে ক্ষতির ইস্যুটি কি পরিমাণ হবে সেটা নিয়ে এই মুহূর্তে আমরা ভাবছি না। আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে চলছি। বাকিটা হয়তো পরে জানা যাবে কি পরিমাণ ক্ষতি হবে।
ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি বিমানবন্দরে আমাদের অবকাঠামো বহাল, অভ্যন্তরীণে আমাদের ১০টি বিমান বসা। বিমানবন্দর পাকিং চার্জ বহাল, বিমানবন্দরের অফিস ও স্টাফ খরচ রয়েছে। বিমান বসে থাকলে বিমানের চেকিং খরচ রয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিকভাবে এখনও পুরোপুরি সচল হতে পারেনি। এর মধ্যে আবারও করোনার কারণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। আসলে অভ্যন্তরীণে আমরা পুরোপুরি লস রেভিনিউতে রয়েছি।