জনতা ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
ভুয়া রপ্তানি বিল দেখিয়ে ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মেসার্স ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান-এমডির বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটটি অনুমোদন দেওয়া হয়ে। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপরিচালক) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এ তথ্য জানিয়েছেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ক্রিসেন্ট গ্রুপ ও মেসার্স ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও এমডি সুলতানা বেগম; কৃষি ব্যাংকের বর্তমান ডিএমডি ও জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম ফখরুল আলম, জিএম মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম এ কে এম আসাদুজ্জামান, মুহাম্মদ ইকবাল, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাগরেব আলী ও মো. খায়রুল আমিন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৭১; ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মো. জাকির হোসেনের নাম অনুমোদিত চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে দায়িত্বে অবহেলার জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান শিগগির আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন।
২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। সে সময় ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ এক বছর পর তিনি জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতি করার উদ্দেশ্যে রপ্তানি না করেও ভুয়া নথি দেখিয়ে এফডিবিপি ও প্যাকিং ক্রেডিট বাবদ টাকা উত্তোলন করেন।
রপ্তানি ঋণ সুবিধা পেতে ভুয়া রপ্তানি বিলের বিপরীতে ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের অনুকূলে জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখা থেকে ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন আসামিরা।
পরে তা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে পাচার করেছেন।