টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দ্রুতই বাজারে আসছে ‘গ্রিন বন্ড’

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, সব সূচকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন আগের চেয়ে ভালো করছে। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দ্রুতই বাজারে ‘গ্রিন বন্ড’ নিয়ে আসা হবে।
মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটে (বিআইসিএম) আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ২০২১’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে সম্মেলনটি ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার প্রথম ৩০ বছরে আমরা আশানুরূপ উন্নতি করতে পারিনি তাই এখন আমাদের দ্বিগুণ গতিতে এগোতে হবে। এ ধরণের সম্মেলন থেকে যেসব অ্যাকশন প্ল্যান আসবে তা নিয়ে আমাদের কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের ব্যবস্থা করে তাই পুঁজিবাজারই হলো দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের মূল ভরসা। মার্কেটের দক্ষতা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে গুড ডিসক্লোজারের ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো প্রতিষ্ঠানকে মার্কেটে আনতে প্রতিযোগিতামূলক প্রাইসিং নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে টেকসই অর্থনীতির জন্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোটিং এবং কর্পোরেট গর্ভনেন্সের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস ইন্স্যুরেন্স এবং পেনশন ফান্ড দুর্বল, তাই এক্ষেত্রে আমাদের জোর দেওয়া উচিত।
সম্মেলনের পর্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্লোবাল গ্রিন গ্রোথ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ফ্রাঙ্ক রিজবারম্যান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দীন আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার।
দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনে সারাবিশ্ব থেকে যোগ দিচ্ছেন টেকসই অর্থায়ন ও বিনিয়োগ বিষয়ে পৃথিবীর ৩২ জনেরও বেশি খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ, গবেষক, পেশাজীবী, মার্কেট স্টেকহোল্ডার, নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ কর্তা-ব্যক্তিসহ আরও অনেকে।