মোহামেডানকে হারাল আবাহনী

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
মোহামেডান দলে একঝাঁক তারকা। পিছিয়ে নেই আবাহনীও। দুই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীর লড়াই অবশ্য আগের মতো ঠিক জমে না। তার পরও এবার জমজমাট ম্যাচ দেখার প্রত্যাশা ছিল। তবে মাঠের লড়াইয়ে আবাহনীর কাছে পাত্তা পেল না মোহামেডান। গতকাল ঢাকা লিগের ম্যাচে মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনীর জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক ও আফিফ হোসেন। ২৫৫ রান তাড়ায় এ জুটি দলকে জয়ী করে মাঠ ছাড়েন। শুরুতে নাঈম শেখের (০) উইকেট হারায় আবাহনী। এর পর ফেরেন মুনিম শাহরিয়ার (৩১)। দলীয় ৩৯ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। তৃতীয় উইকেটে হনুমা বিহারি ও জাকের আলি স্কোরকার্ডে ৯৮ রান যোগ করেন। দুজনেই ফিফটির স্বাদ পান। বিহারি ৫৯ ও জাকের ৬০ রান করেন। ১৭১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন আফিফ ও মোসাদ্দেক। ১৩ ওভারে আবাহনীর প্রয়োজন ছিল ৮৫ রান। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মোসাদ্দেক। ৩৭ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৪৮* রান। তার ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কা। পঞ্চম উইকেটে তাদের অবিচ্ছিন্ন ৮৫ রানের সুবাদে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে আবাহনী।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডান ৪৯ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয়। তিনে নেমে ১০১ বলে ৭০ রান করেন মোহাম্মদ হাফিজ। এ ছাড়া রুয়েল মিয়া ৫১ ও মাহমুদউল্লাহ ৩৭ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তানজিম সাকিবের শিকার ৩৩ রানে ৩ উইকেট। ব্যাট হাতে ৪৮* রান ও বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন আফিফ। ৭ ম?্যাচে পঞ্চম জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আবাহনী। সমানসংখ্যক ম্যাচে টানা তৃতীয় পরাজয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে আছে মোহামেডান।
পারভেজ রাসুলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হারল প্রাইম ব্যাংক। লড়াইটা ছিল পয়েন্ট টেবিলের দুই শীর্ষ দলের মধ্যে। সেখানে ব্যবধান গড়ে দিলেন শেখ জামালের ভারতীয় অলরাউন্ডার রাসুল। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে জয় পেয়েছে শেখ জামাল। ২৬৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামাল ৪৯.৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে জয় পায়। সৈকত আলী (৬৫) ও ইমরুল কায়েস (৫২) ফিফটি করেন। শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল। রাসুলের ব্যাটেই ১ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে তারা। ৫১ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এর আগে বল হাতে প্রাইম ব্যাংকের ৪ উইকেট শিকার করেন ম্যাচসেরা রাসুল। এই অফস্পিনারের শিকার শাহাদত, মিঠুন, নাসির ও শামসুর। ইউল্যাব মাঠে বিজয় (৭৭), অভিমন্যুর (৬২*) ফিফটি ও মাহেদীর ৪০ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ২৬৫ রান করে প্রাইম ব্যাংক। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে প্রাইম ব্যাংক। ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেখ জামাল।
অবশেষে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তার সেঞ্চুরির ম্যাচে জয় পেয়েছে ব্রাদার্সও। বিকেএসপির-৩ নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ৩৬ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স। আশরাফুলের ১৩৯ বলে ১৪১* রান করেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটা তার সর্বোচ্চ ইনিংস। এছাড়া মায়শুকুরের ৬৮ ও ডি সিলভার ২৫ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৪ উইকেটে ৩০৯ রানের বড় পুঁজি পায় ব্রাদার্স। এর পর বোলারদের নৈপুণ্যে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ৪৭.৪ ওভারে ২৭৩ রানে অলআউট করে তারা। বৃথা গেছে ফজলে মাহমুদের সেঞ্চুরি। রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে ১০০ বলে ১০০ রান করেন ফজলে। এ ছাড়া মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। ব্রাদার্সের এটি প্রথম জয়। রূপগঞ্জ টাইগার্সের তৃতীয় হার।