হাইজাম্পে ঋতু আক্তারের জাতীয় রেকর্ড

লাফ শেষ হওয়ার পর যখন স্কোর জানলেন, তখন নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ঋতু আক্তার। নারীদের হাইজাম্পে ১.৭০ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন গাইবান্ধার এ অ্যাথলেট। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন তিনি। এই ইভেন্টে ১.৬৮ মিটারে আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৯ সালে বাংলাদেশ জেলের উম্মে হাফসা রুমকির। এবারও তিনি হাইজাম্পে খেলেছেন। উচ্চতাও ছিল ১.৬৮ মিটার। তিনি এগোতে পারেননি আর। তাই রুমকিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন ঋতু। হাইজাম্পে ছেলেদের বিভাগে ২.১০ উচ্চতায় লাফিয়ে উঠে সেরা হয়েছেন মাহফুজুর রহমান।
এর আগে জুনিয়র মিটে জিতেছিলেন রুপা। প্রথমবার সিনিয়র প্রতিযোগিতায় এসেই করলেন বাজিমাত। এ জন্য অবশ্য তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিকেএসপির কোচ ড. মেহেদী হাসানের কাছে বেশ ক'দিন অনুশীলন করেছেন ঋতু। প্রস্তুতির সময়ে টানা তিন দিন রেকর্ড মিটারে জাম্প করেছেন। স্বর্ণ জেতার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ অ্যাথলেট বলেন, 'মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছে, নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখি, সত্যিই কি আমি এই রেকর্ড গড়েছি।' এর পরই বললেন সাফল্যের রহস্য, 'টানা তিন দিন রেকর্ড মিটারে জাম্প করার পর স্যার (মেহেদী হাসান) আমাকে বললেন, এবার রেকর্ড হবে তোর। সত্যিই তাই হয়েছে।' ঋতু একসময় ক্রিকেট খেলতেন। ঢাকার মিরপুর বয়েজে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটও খেলেছেন। কিন্তু মেয়েদের ক্রিকেটে পারিশ্রমিক যৎসামান্য হওয়ায় ভিন্ন কিছু করতে গিয়ে অ্যাথলেটিকসে জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রথম দিনে ১২টি ইভেন্টের নিষ্পত্তি হয়েছে। ৬টি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য এবং ২টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১২টি পদক জিতে তালিকায় এক নম্বরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। দুইয়ে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৪টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য, ৬টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৮টি পদক জিতেছে। একটি স্বর্ণসহ মোট তিনটি পদক জিতে তৃতীয় বাংলাদেশ আনসার ও সমান স্বর্ণসহ মোট একটি পদক জেতা বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান চার নম্বরে।