শিরোনাম

South east bank ad

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে: রাষ্ট্রপতি

 প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বিশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে: রাষ্ট্রপতি

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্রগ্রাম বন্দর শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নয়, এ অঞ্চলের সভ্যতার ক্রমবিকাশে এ বন্দরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ১৮৮৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) ‘চট্টগ্রাম বন্দর দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর ব্যবহারকারী, কর্মকর্তা- কর্মচারী ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায়ও চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ এ বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।

আবদুল হামিদ বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসে। এ সময় বিশ্বের ব্যস্ত বন্দরগুলোর কার্যক্রম যেখানে স্থবির হয়ে পড়েছিল, সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি। ফলে সচল থেকেছে দেশের অর্থনীতির চাকা, যা জাতীয় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে সরকার ব্যবসা- বাণিজ্যের প্রসারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সরকারের নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। এ অর্জনের পেছনে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ও আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান অনস্বীকার্য। আমি আশা করি, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আগামীতেও চট্টগ্রাম বন্দরের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতি ‘চট্টগ্রাম বন্দর দিবস ২০২২’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

BBS cable ad

বিশেষ সংবাদ এর আরও খবর: