শিরোনাম

South east bank ad

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও প্রধানমন্ত্রীর অর্জন

 প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বিশেষ সংবাদ

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে ছন্দপতন ঘটে। তবু পরিস্থিতি বুঝে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বছর জুড়েই ছিল এই আয়োজন। বিভিন্ন সময়ে বিদেশি অতিথিরাও এসেছেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এসেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিশেষ স্মারক উপহার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রথম পর্বে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী।

করোনা মহামারীর কারণে কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হওয়ায় মুজিববর্ষের মেয়াদ বাড়ায় সরকার। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে এ সময়কাল ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এখন এটি আগামী মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধির কথা ভাবছে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মযজ্ঞ এখনো অব্যাহত আছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়া, করোনা মোকাবিলায় টিকাদান কর্মসূচি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ নানা অর্জন ও উদ্যোগের কারণে প্রশংসা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফলতার সঙ্গে দেশ পরিচালনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানা অর্জনে তিনি পেয়েছেন কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ছিলেন বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায়। দেশের বাইরেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। মহামারী কিছুটা কমে আসায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সরাসরি অংশ নেন। পরবর্তীতে লন্ডন ও ফ্রান্সে বিভিন্ন সম্মেলনে অংশ নেন। বছরের একেবারে শেষের দিকে মালদ্বীপ সফর করেন। এসব সফরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণ ইস্যুতে আলোচনা হয়।

নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের রাজধানী গ্লাসগোয় ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে (কপ-২৬) জলবায়ু বিপর্যয় রোধে চার দফা প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের সম্মেলনে তার নেতৃত্ব ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা সবার নজর কেড়েছে। কপ-২৬ জলবায়ু আলোচনা এগিয়ে নিতে প্রভাব রাখছেন এমন পাঁচ প্রভাবশালী আলোচকের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এ তালিকায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, কপ-২৬ সম্মেলনের সফলতা কিংবা ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করছে প্রভাবশালী এই পাঁচ ব্যক্তির ওপর।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের কারণে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দারিদ্র্য দূরীকরণ, বিশ্বের সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে নেতৃত্বদান এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে ‘উইটসা এমিনেন্ট পারসনস অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ পদক দেওয়া হয়। ৮০টি দেশের সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স’ তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক-খ্যাত ‘উইটসা ২০২১’ পুরস্কার দিয়েছে।
লিখেছেন- মুহম্মদ আকবর

BBS cable ad

বিশেষ সংবাদ এর আরও খবর: