রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ‘বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক পর্যবেক্ষণ’ শুরু

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি, মনিটরিং ও গুণগতমানের ‘বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক পর্যবেক্ষণ’ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হতে শুরু হয়েছে। ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি দুই দিন ব্যাপী এই পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং-এ বাংলাদেশ ও রাশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও নিউক্লিয়ার বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং রাশিয়ার পক্ষে রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের ফাস্ট ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ও এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের প্রেসিডেন্ট মি. লকসিন।
বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং রাশিয়ার পক্ষে এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট, রোজ এনার্গোএটম, রাশিয়ার নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি বডি এবং বিভিন্ন এরিয়ার নিউক্লিয়ার বিশেষজ্ঞ কাজের সার্বিক অগ্রগতি, মনিটরিং এবং গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরম মিত্র দেশ রাশিয়ান শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে মনিটরিং ও পর্যবেক্ষণের পর একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। কাজের গুণগতমান বজায় রেখে শিডিউল অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি জানিয়েছেন।’
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, দুই দিনে উভয় দেশের বিশেষজ্ঞ দ্বারা যৌথভাবে প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতির সাথে সাথে গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করা হবে। চলতি ও আগামী বছরের শিডিউল অনুযায়ী কার্যক্রম নিয়ে একাধিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ তাদের ঠিকাদার এবং সাব-ঠিকাদারদের সাথে বৈঠক করে নির্দেশনা দিবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
জানা যায়, রাশিয়া থেকে চার্টার বিমানে উচ্চ পর্যায়ের এই টিম সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় এসে পৌঁছান। মঙ্গলবার ১২টার দিকে দুটি হেলিকপ্টার নিয়ে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ রূপপুর প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছান।
রাশিয়ান নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি বডির মি. ফেরা পান্তভ, রোজ এনার্গোএটমের মি. পেট্রোভ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রূপপুর প্রকল্প) মোহাম্মদ আলী হোসেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সানোয়ার হোসেন, প্রকল্পের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা অলোক চক্রবর্তী, সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুসসহ বাংলাদেশের নিউক্লিয়ার বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন।