সাভারে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের নৃশংস ও ঘৃন্যতম অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। বর্তমান সমাজে যৌন নিপীড়ন সামাজিক ব্যাধির মত ছড়িয়ে পড়েছে এবং এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েরাও। এমন ঘৃণ্য অপরাধ নির্মূলের জন্য র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নারী ও শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেজর এ.এইচ.এম আদনান তফাদার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং এর নেতৃত্বে র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ঢাকা জেলার ধামরাই এলাকা হতে সাভারের শিশু ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক প্রধান আসামী মোঃ নিজামুদ্দিন সরদার @ মিজান (৩০), জেলা-বরিশালকে গ্রেফতার সক্ষম হয়।
মামলার ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ২১/১০/২০২০ তারিখ সাভারে একটি ১২ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে বিবাদী মোঃ নিজামুদ্দিন সরদার @ মিজান এর বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানার মামলা দায়ের করেন। ঘটনাসূত্রে আরো জানা যায়, উক্ত মামলার অন্য আসামী মোঃ শরীফ এর সহযোগিতায় মোঃ নিজামুদ্দিন সরদার @ মিজান কৌশলে ভুক্তভোগীকে তার বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং এ লোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। ধর্ষিত শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় বলে ডাক্তারী রিপোর্ট প্রদান করেন। উক্ত ধর্ষণের ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং আসামী এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর থেকে র্যাব-৪ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল উক্ত এজাহারভুক্ত পলাতক আসামীদ্বয়কে গ্রেফতারের জন্য কার্যক্রম শুরু করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী পেশায় একজন গাড়ীচালক। গ্রেফতারকৃত আসামী তার কৃত অপরাধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে এবং তাকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।