রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্কুল শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার প্রধান ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪
এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই, খুন-গুমসহ নৃশংসতম অপরাধসমূহ নিয়ে এলিট ফোর্স র্যাব বরাবরের মতই সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে কাজ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধের মূল রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং এর নেতৃত্বে সাভার থানাধীন রাজাসন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও সাভারের স্কুল শিক্ষক হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামী ১। মোঃ আজাদ শরীফ (৩০), জেলা-বাগেরহাট এবং ২। মোঃ রনি (৪৮), জেলা-ঢাকাদ্বয়’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
মামলার ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৩/১০/২০২০ তারিখ সাভারের একটি স্কুলের শিক্ষক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান রাজশাহী থেকে নৈশ কোচ যোগে ভোর আনুমানিক ০৪.০০ ঘটিকার সময় সাভার বাসস্ট্যান্ড নেমে সিআরপি এলাকায় যাওয়ার প্রাক্কালে কিছু ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীদের উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে তিনি গুরুতর জখম প্রাপ্ত হলে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং গত ২৪/১০/২০২০ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই সংক্রান্তে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হলে আসামীরা আত্বগোপনে চলে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং পলাতক অন্যান্য আসামীদের নাম প্রকাশ করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় তারা একটি ছিনতাইচক্র আকারে দীর্ঘদিন ধরে সাভারসহ আশেপাশের এলাকায় ছিনতাই করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়’কে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন। পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব-৪ এর সাড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে।