শিরোনাম

South east bank ad

কুখ্যাত রিটু বাহিনী প্রধান ও তার দুই সহযোগীকে অস্ত্র, গুলি এবং মাদকসহ আটক করেছে র‌্যাব-৪

 প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   র‍্যাব

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলের পাশাপাশি অস্ত্র, মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ সংঘবদ্ধ ছিনতাই,চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী গ্রুপ থেকে সাধারণ জনগণকে রক্ষা করার জন্য র‌্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৮/১০/২০২০ তারিখ ১৭.২০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন মেঘনা পুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২টি বিদেশী পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন, ৩ রাউন্ড গুলি, ২৯০ পিস ইয়াবা এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ০১ টি প্রাইভেটকারসহ অবৈধ অস্ত্রধারী কুখ্যাত ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ১। রিটু প্রধান (৩২) ও তার দুই সহযোগী ২। আলামিন প্রধান (৩৮) এবং ৩। মোঃ আলমগীর হোসেন প্রধান (২৮) সর্ব থানা-গজারিয়া, জেলা-মুন্সিগঞ্জদের’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে নিম্ন বর্ণিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিলো।
(১) ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে মালবাহী রপ্তানি পণ্যের গাড়ি লুট/ডাকাতি
(২) চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা এবং চোরাকারবারি
(৩ আন্তঃ বাহিনী ট্রাক সমিতির নামে চাঁদা আদায়
(৪) ভূমি দস্যুতা এবং
(৫) মেঘনা ঘাট এলাকায় চোরাই তেল, সার, কয়লা ও পাম অয়েল সয়াবিনের অবৈধ ব্যবসা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৫ টি নিয়মিত মামলা ছাড়াও বিভিন্ন থানায় অপহরণ, ছিনতাই, মারামারি ও মাদক বিষয়ক মামলা রয়েছে। এরা মূলত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হওয়ায় সাধারণ জনগণ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস করত না এবং কেউ তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতিসহ জান-মালের ক্ষতি করত।

উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো সাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

BBS cable ad

র‍্যাব এর আরও খবর: