বিকাশে অভিনব প্রতারণা : প্রতারক চক্রের একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩
"হ্যালো?
আমি লেফটেন্যান্ট কর্ণেল বলছি। তোমাদের ক্যান্টনমেন্টের অফিসার'স মেসে আছি।
তুমি এক কাজ করো তো, আমার এই নম্বরে ১৫,০০০ টাকা বিকাশ কর, আর একটু পর এসে আমার রুম থেকে টাকা নিয়ে যাও।"
ফোনের অপর পাশের মানুষটার তো আক্কেল গুড়ুম!
এতবড় অফিসার একজন সৈনিককে ফোন করেছেন, তার উপর টাকাও চেয়েছেন, সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই। সৈনিক টাকা দিয়ে দিলেন বিকাশে। নির্দেশনা মত কিছুক্ষণ পর অফিসার্স মেসে গিয়ে দেখলেন, ওই নামের কেউ নেই সেখানে।
ব্যস, প্রতারিত হলেন তিনি।
আর এভাবেই বহুদিন যাবৎ একটি সংঘবদ্ধ চক্র কখনো সেনাবাহিনী, কখনো ডিজিএফআই বা কখনো আবার বিজিবি, পুলিশের বড় অফিসারদের নামে সাধারণ জনগণ ও বিশেষভাবে উল্লিখিত বাহীনির সদস্যদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
একইরকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি আমলে নিয়ে সিপিএসসি, র্যাব-১৩ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে দেখা যায়, ৩-৪ জনের একটি চক্র এ কাজে জড়িত। অজ-পাড়া গাঁয়ের বয়স্ক নিরক্ষর, অসচেতন মানুষের জাতীয় পরিচয় পত্র কৌশলে সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে সিম কিনে একাজ করতো, যাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে। তারা গত ০১ মাসেই প্রতারণা মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গতকাল লালমনিরহাট সদর থানার বড়বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ০১ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিপিএসসি, র্যাব-১৩'র একটি আভিযানিক দল। জব্দ করা হয়েছে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০৩ টি সিম ও ০২ টি মোবাইল। গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তির কাজ ছিলো প্রতারণার মাধ্যমে আসা টাকা ক্যাশ-আউট করা।