শিরোনাম

South east bank ad

অনিশ্চয়তা না কাটলে নতুন বছরেও বিনিয়োগ বাড়বে না’

 প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   র‍্যাব

অনিশ্চয়তা না কাটলে নতুন বছরেও বিনিয়োগ বাড়বে না’
উচ্চ সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করতে না পারলে নতুন বছরেও বিনিয়োগে গতি ফিরবে না। আর দেশী উদ্যোক্তারা শিল্পে বিনিয়োগ না বাড়ালে বিদেশি উদ্যোক্তাদেরও আস্থা ফিরবে না। তাই বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে এদিকে নজর দিতে হবে। বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তা ও বাংলাদেশ-গ্রিস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিজিসিসিআই) মহাসচিব মাহমুদুর রহমান সুমন এক সাক্ষাত্কারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শিল্প সম্প্রসারণ বা নতুন বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় শর্ত অবকাঠামোর নিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বিনিয়োগের পর সময়মতো কারখানা চালু করার নিশ্চয়তাসহ নির্বিঘ্নে উত্পাদন ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনার কথা ভেবেই উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে হাত দেন। সেটি নিশ্চিত না হলে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ালেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বেসরকারি ও বিনিয়োগ হচ্ছে না। মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হচ্ছে। স্থাপন করা হচ্ছে বড় বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব গ্যাসের ওপর ভর করে কাটিয়েছে। গ্যাসের মজুদ শেষ পর‌্যায়ে যাওয়ার কারণে সেই সুদিনের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। নীতিনির্ধারণী মহলের হিসাব ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দেশ ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল হতে থাকবে। সে জন্য সরকার ইতিমধ্যে কয়লা, এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছে। ২০১০ সালে বিদ্যুৎ উত্পাদনে বিদেশ থেকে আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরতা ছিল ১০ শতাংশের কম, ২০৩০ সালে তা বেড়ে হবে ৭০ শতাংশ। তিনি বলেন, সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় যেমন বিদ্যুৎ বা অবকাঠামো খাত আছে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে মন্দা দূর করার পরিকল্পনাও থাকা দরকার। আর এই ক্ষেত্রে অবশ্যই সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে হবে। ভারত, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ও চীনসহ বিভিন্ন বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংক ঋণের সুদের হারের পার্থক্য অনেক বেশি। গত এক বছর ধরে সুদের হার কিছুটা পড়তির দিকে থাকলেও তা এখনো ১২ শতাংশের কাছাকাছি। এত উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগের পর প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকা উদ্যোক্তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার আরো কমাতে আন্তরিক হলেও ৬ শতাংশেরও বেশি মূল্যস্ফীতির কারণে তা কমানো সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার জ্বালানি তেলের দাম কমাতে সরকারকে অনুরোধ করছে। জ্বালানি তেলের দাম কমালে মূল্যস্ফীতি কমবে, তখন আমাদের সুদের হারও কমানো সম্ভব হবে। ফলে কমে যাবে ঋণের সুদের হার। সরকার দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি তেলে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করছে। ফলে বিশ্ববাজারে দাম কমার সুফল এ দেশের ব্যবসায়ী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না।
BBS cable ad

র‍্যাব এর আরও খবর: