কথা রেখেছেন র্যাব-৪ অধিনায়ক, অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক
দ্বিতীয় বারের মতো কল্যানপুরের বৃদ্ধাশ্রমের ৭৩ বৃদ্ধ বাবা মা ও শিশুদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌছালেন
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সমাজের বিভিন্ন অপরাধের রহস্য উদঘাটন, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের সুবিধা বঞ্চিত ও দুঃস্থ’ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ যেকোন পরিস্থিতিতে র্যাব-৪ সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টে পাশে থেকে কাজ করে আসছে।
বর্তমান সময়ে মহামারি রূপ ধারণকারী চলমান করোনা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে র্যাব-৪।
চলমান ক্লান্তিকালের শুরু থেকেই র্যাব-৪ এর অধিনায়ক , অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম জনগনের যানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি নিজের একান্ত আন্তরিক প্রচেষ্টায় নিয়মিত শতাধিক দিন মজুর, খেটে খাওয়া, শ্রমজীবি বেকার ও অসহায় পরিবারসমূহের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। পাশাপাশি বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র ও অসহায় পরিবার ও লোক খুঁজে খুঁজে বের করে রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পোঁছে দেন। ফোনের মাধ্যমেও যে সকল গৃহবন্দি ও মধ্যবিত্ত পরিবারসমূহ খাদ্য সামগ্রীর জন্য অনুরোধ করেছেন রাতের আধারে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তাদের বাড়িতে হাজির হন। এছাড়াও বর্তমান সময়ে চলমান লকডাউন এর ফলে প্রতিকুলতার সম্মুখীন বিভিন্ন এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক বিভিন্ন সময়ে নিজ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী পোঁছে দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মহোদয়, অতিরিক্ত ডিআইজি, জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম দ্বিতীয় বারের মতো রাজধানীর কল্যাণপুর ̄ ‘‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’’ এ বসবাসরত অভিভাবকহীন পরিচয়হীন অসু স্থ্য ৭৩ জন বৃদ্ধ বাবা মা ও শিশুদের দেখতে যান, তাদের খোঁজ খবর নেন ও খাদ ̈ সামগ্রী বিতরন করেন। তিনি ‘‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’’ প্রতিষ্ঠানটিকে নজরদারিতে রাখা ও সম্ভাব ̈ সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। উক্ত সময়ে প্রতিষ্ঠানটিতে বসবাসরত ৭৩ জন বৃদ্ধ বাবা-মা ও শিশু এবং উপস্থিত র্যাব-৪ এর কর্মকর্তাদের মাঝে এক আবেগঘন পরিবেশে সৃষ্টি হয়। র্যাব-৪ এর এই জনহিতকর কার্যক্রমের পাশাপাশি সচেতনতা ও নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।




