শিরোনাম

South east bank ad

নভো নরডিস্ক ও এসকেএফের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই

 প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   র‍্যাব

নভো নরডিস্ক ও এসকেএফের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইনসুলিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নভো নরডিস্ক বাংলাদেশে আধুনিক ইনসুলিন উৎপাদনের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগেটি বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ উদ্যোগের শুরুতে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ডেনর্মাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, এশিয়া হাউস, ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি এবং নভো নরডিস্কের প্রধান কার্যালয় ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইনসুলিন উৎপাদনকারী কারখানা পরিদর্শন করেছে । তারপরই ইনসুলিন প্রযুক্তি সরবরাহ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে নভো নরডিস্ক। ডায়াবেটিস সচেতনতা, প্রতিরোধ ও সময়োপযোগী চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়ে ৯০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বে কাজ করছে নভো নরডিস্ক। দীর্ঘ সময়ের কাজ করার এই ঐতিহ্যই নভো নরডিস্ককে দিয়েছে অভিজ্ঞতার সমাহার। আর এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই সারা বিশ্বের মানুষ পরাজিত করতে পেরেছে স্থুলতা, হেমফিলিয়া, শারিরীক প্রতিবন্ধকতাসহ গুরতর দীর্ঘস্থায়ী সব রোগ। এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে, ডেনমার্কে নভো নরডিস্কের প্রধান কার্যালয়ের ইচ্ছাশক্তি, ৭৭ টি দেশের ৪১ হাজারের বেশি কর্মীবাহিনী এবং বিশ্বের ১৬৫ দেশে ইনসুলিন বাজারজাত করার মাধ্যমে। এখন বাংলাদেশও হতে যাচ্ছে সে রকম একটি উদ্যোগের অংশীদার। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে নভো নরডিস্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনান্দ শেঠী এবং এসকেএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিমিন হোসেন যৌথভাবে ইনসুলিন প্রস্তুত করার এই চুক্তি সই করেন। এ চুক্তির ফলে এখন বাংলাদেশে ডেনিশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত হবে উচ্চ গুনাগুণ সম্পন্ন ইনসুলিন। আনন্দঘন এই চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ চুক্তি সইয়ের ফলে দেশেই আধুনিক ইনসুলিন উৎপাদনের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা এবং পাশাপাশি জাতিসংঘের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যেই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারকে সহায়তা করবে এই উদ্যোগ।’ এ সময় নভো নরডিস্কের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কর্পোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট শবনম আভসার টুনা বলেন, ‘ডায়াবেটিসের সঙ্গে বসবাস করা রোগীদের জন্য বাংলাদেশে প্রায় ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছে নভো নরডিস্ক। আরও অধিকতর সেবা দানের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে আধুনিক ইনসুলিন উৎপাদনের জন্য আমরা যুক্ত হয়েছি এসকেএফ-এর সঙ্গে।’ ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান বলেন, ‘ডেনিস প্রযুক্তিতে ইনসুলিন উৎপাদন শুধু এসকেএফএর জন্য গর্বের ব্যাপার নয়, এটি সমগ্র দেশের জন্য গর্বের বিষয়। এসকেএফএর গুনগত মানের অব্যাহত ধারাই এই উদ্যোগকে সম্ভব করেছে। এই প্রযুক্তি স্থানান্তরটি দেশে বিশ্বের সেরা ইনসুলিনপণ্য উৎপাদন করে বাংলাদেশের জনগণকে ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করবে।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনর্মাকের রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেমিনিটি উইন্থার বলেন ‘ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের সর্ম্পককে আরও মজবুত করতে এই উদ্যোগ অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আজকের ঘটনাটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, ডেনমার্ক যার অংশ হতে পেরে গর্ববোধ করছে। আশা করছি স্বাস্থ্য খাতে আরও অনেক কাজই আমরা একসঙ্গে করতে পারব।’ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই যৌথ উদ্যোগটি বাংলাদেশে অত্যাধুনিক ইনসুলিন প্রযুক্তি সূচনায় ঔষুধ প্রশাসনের উদ্যোগেরই প্রতিচ্ছবি। এর ফলে উন্নত প্রযুক্তির ইনসুলিন পাবে দেশের মানুষ। এতে উপস্থিত ছিলেন নভো নরডিস্কের আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ওসানিয়া অঞ্চলের কর্পোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) লারস বো স্মিথ। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিউজ্জামান, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েসন অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট একে আজাদ খান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারি রেক্সোনা কাদের। উল্লেখ, এসকেএফ এরই মধ্যে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এসকেএফ এর আধুনিক শিল্পকারখানাটি যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ, ইউরোপিয় মেডিসিনস এজেন্সি, টিজিএ অস্ট্রেলিয়া, ভিএমডি ইউকে এবং ইউনিসেফসহ সবার অনুমোদন পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, আফ্রিকা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়াতে তাদের ওষুধ রপ্তানি করছে।
BBS cable ad

র‍্যাব এর আরও খবর: