শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক যানবাহন

কায়সার সামির (মুন্সিগঞ্জ) : ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে সর্বাত্বক লকডাউননের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।
মঙ্গলবার ভোর থেকে ঘাট এলাকায় উভয়মুখী যাত্রীদেরপ চাপ বাড়তে থাকে। গণপরিবহন বন্ধে পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে লঞ্চ ও স্পীডবোট বন্ধ থাকার নির্দেশনায় যাত্রীরা নদী পারাপার হচ্ছে ফেরিযোগে। অনেকেই আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পার হচ্ছে ট্রলারযোগে।
এদিকে ঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক অধিক ব্যাক্তিগত ও পন্যবাহী যানবাহন অবস্থান করছে।এসব যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌ-রুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ।
মহামারী করোনার কারণে বেকার হয়ে অনেক পরিবার তাদের আসবাবপত্রসহ পিকাপ যোগে ঢাকা ছাড়ছেন।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যাবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, সকাল দিকে ১৪টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। লঞ্চ ও স্পীডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। লকডাউনের আংশকায় যাত্রীরা বাড়ি ফিরছে। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহন গুলো পর্যায়ক্রমে পার করা হচ্ছে। তবে ছোট গাড়ি সংখ্যায় বেশি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টি আই হিল্লাল জানায়, ঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক গাড়ি রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায়। মাওয়া চৌরাস্তা থেকে মহাসড়কে পাশে দুই শতাধিক পন্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় আছে।