অপরিনামদর্শী বিপথগ্রস্থ মিলি’কে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা
৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মরিয়ম আক্তার মিলি (১৪) গত ১০.১০.২০২০খ্রিঃ তারিখ বিকাল ০৫.৩০ ঘটিকায় বান্ধবীর বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত ঘনিয়ে আসা সত্বেও মিলি বাড়িতে ফিরে না আসলে তার মা মোছাঃ ফাতেমা খাতুন (৪০), স্বামী-মোঃ মিলন হোসেন, গ্রাম-কুতুবপুর, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে বিচলিত হয়ে পড়েন। স্থানীয় জনগণের পরামর্শে ফাতেমা খাতুন ১১.১০.২০২০খ্রিঃ তারিখ দামুড়হুদা থানায় হাজির হয়ে তার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছে না মর্মে একটি সাধারণ ডাইরী করেন। পুলিশ সুপার, চুায়াডাঙ্গা মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর নির্দেশে ও দিক-নির্দেশনায় দামুড়হুদা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই/মোঃ আব্দুল বাকী সাধারণ ডাইরী তদন্ত শুরু করেন।
তদন্তকালে একটি অজ্ঞাত মোবাইল কললিষ্টের সূত্র ধরে তদন্তকারী দল বিপথগ্রস্থ ও অপরিণত মিলি (১৪)’কে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার করিহাটা গ্রাম থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করে জানা যায় সে অজ্ঞাত ফোনে কথা বলার সূত্রে প্রেমে পড়ে বাড়ি ছাড়েন। ভিকটিম’কে উদ্ধার পূর্বক তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলে তিনি খুঁশিতে আবেগ আপ্লুত হয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ভিকটিমের মা ফাতেমা খাতুন পুলিশ সুপার ও দামুড়হুদা থানার উদ্ধারকারী টিমকে ধন্যবাদ জানান।
বিপথগ্রস্থ এবং অপরিনত বয়স্ক ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুলিশের সুনাম বৃদ্ধি করায় পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/মোঃ আব্দুল বাকী’কে অভিন্দন জানান। এসময় পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা, জেলা পুলিশের সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি দু’একজন পুলিশ সদস্যের অপকর্মের কারণে পুলিশের সকল ভাল কাজ যেন প্রশ্নের সম্মুক্ষিন না হয় সে বিষয়ে সবাই সর্তক থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন।