সীমিত আকারে গণপরিবহন চালু : পুলিশ দায়িত্বের মধ্যে সবই করছে
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। সীমিত আকারে গণপরিবহণ চালুর ক্ষেত্রে পুলিশের পরিসীমার ভেতর যা পড়ে সেটাই দায়িত্বের সঙ্গে পালন করছে বলে জানিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৩১ মে থেকে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়কে গণপরিবহন চলাচল করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীবাহী নৌযান এবং ট্রেনও চলাচল করছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে, স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলছে। গণপরিবহন চলাচলের বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসন থেকে ঠিক করে দেয়া হয়। গণপরিবহন চালালে তো ঠাসাঠাসি করে চালানো যাবে না। সামাজিক দূরত্ব মেনেই চালাতে হবে। অবশ্যই যাত্রীদের মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। এগুলো নিশ্চিত করেই মালিকদের গণপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
সীমিত আকারে যানবাহন চলাচলের বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম) মো. সোহেল রানা জানান, ‘সীমিত আকারে যানবাহন চলাচলের সুযোগ রেখে সরকার একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করেছেন, এ প্রজ্ঞাপণে জনস্বার্থে কয়েকটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
‘এসকল নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও প্রতিপালনে সরকারের কয়েকটি সংস্থা দায়িত্বের আত্ততাধীন, বাংলাদেশ পুলিশও এসকল সংস্থা গুলোর মধ্যে একটি। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টসহ দায়িত্বের পরিসীমায় পড়ে এসব বিষয় বাংলাদেশ পুলিশ বরাবরের মতোই পালন করবে এবং বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন মানুষের চলাফেরা বেড়ে যাবে তখন এটি আমাদের জন্য অনেক অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে যাতে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষ সরকারের যে স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে তা যথাযথভাবে মেনে চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি থাকবে না। ট্রাফিক ও ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণের যে কার্যক্রম আমরা শুরু থেকে করে আসছিলাম সেটা চলমান থাকবে।
পাশপাশি সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে করোনা সুরক্ষায় ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সোহেল রানা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে ২৬শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। পরবর্তীতে ছয় দফা বাড়িয়ে এই ছুটি শেষ হয় শনিবার।