শিরোনাম

South east bank ad

দিনে চালান রিকশা, রাতে করেন ডাকাতি

 প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   পুলিশ

দিনে চালান রিকশা, রাতে করেন ডাকাতি

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। এসময় সোনা ও রূপার অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- মাদারীপুরের লক্ষ্মীপুর গ্রামের হাসমত ব্যাপারী (৪৩), শরীয়তপুরের মাওসার গ্রামের জসিম ওরফে মুন্না (৩৯) এবং চাঁদপুরের পুরানপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন (৩৫)।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভুইয়া এ তথ্য জানান।

এর আগে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ঢাকার দারুস সালাম থানার দ্বীপনগর এবং আদাবর থানার সুনিবিড় আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঞা বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে নান্দাইল পৌর বাজারের রাতে নৈশপ্রহরীদের বেঁধে আব্দুল মতিনের মুক্তা জুয়েলার্স ও রফিকুল ইসলামের বিসমিল্লাহ জুয়েলার্সে ডাকাতি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। এসময় মুক্তা জুয়েলার্স থেকে চার ভরি সোনা ও ৪০ ভরি রূপা এবং বিসমিল্লাহ জুয়েলার্স থেকে ১৩ ভরি সোনা ও ৫০ ভরি রূপার অলঙ্কার, নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা লুট করে ডাকাতরা। শেষে ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি হয়। মামলার পর অভিযান চালিয়ে ১০ অক্টোবর ওই ডাকাত দলের চার সদস্য জসিম ব্যাপারী (৩৫), শামছুদ্দিন মোল্লা (৩৫), আসাদুল (২৫), শেখ সুজনকে (৩৩) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঢাকার দারুস সালাম থানার দ্বীপনগর থেকে ডাকাত সর্দার হাসমত ও জসিম উদ্দিন মুন্না এবং আদাবর থানার সুনিবিড় আবাসিক এলাকা থেকে স্বর্ণের দোকানদার ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ইকবালের দোকান থেকে লুণ্ঠিত ১১ আনা সোনা ও ৭০ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ডাকাত হাসমত ব্যাপারী গত ১১ সেপ্টেম্বর নান্দাইলে শ্বশুরবাড়িতে বেড়ানোর অজুহাতে এসে রাতভর ডাকাতির পরিকল্পনা করে। নান্দাইল বাজারে নির্বিঘ্নে ডাকাতির কাজ সম্পন্ন করার জন্য ককটেল, ডাকাতির সরঞ্জাম ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র, রশি, লোহার রড, রামদা, সাবলসহ ১৬ জনের ডাকাত দলটি ঢাকা থেকে নান্দাইল বাজারে আসে। ডাকাতরা নান্দাইল বাজারের বিভিন্ন অলি গলিতে ঘোরাফরো করে রাত আড়াইটার দিকে বাজারের সাতজন নৈশপ্রহরী ও এক পথচারীর মুখে গামছা ও হাত-পায়ে রশি বেঁধে একটি চায়ের দোকানে অবরুদ্ধ করে ডাকাতি করে।

তিনি বলেন, গ্রেফতাররা একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়কপথ, নদীপথ ও বন্দর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছে। ডাকাত হাসমত ব্যাপারীর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় চারটি ডাকাতি, একটি বিস্ফোরক, একটি অস্ত্র আইন, একটি চুরসিহ ১১টি মামলা রয়েছে। পলাতক ডাকাত এবাদুলের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৩টি মামলা। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ডাকাতির বিষয়টি আড়াল রাখতে গ্রেফতাররা রাতে ডাকাতি করলেও দিনে রিকশা ও ইজিবাইক চালাতো। এর মাধ্যমে তারা ডাকাতির নতুন স্থানও সন্ধান করতো।

BBS cable ad

পুলিশ এর আরও খবর: