কারাগারে ডাকাতির ছক আঁকে ডাকাতরা

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
কারাগারে বিভিন্ন অপরাধীদের সমন্বয়ে ডাকাত দল গঠন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার ডাকাত সর্দাররা। সেখানে বসেই করা হয় ডাকাতির পরিকল্পনা। এমনকি করোনাকালে কম বেতনের চাকরিজীবীদের অনেককে দলে ভেড়াতো তারা। দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণের পর সেই চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- সুমন চৌকিদার ওরফে সুমন মিয়া (৩৪), মো. মোস্তফা (৩২), মো. আরিফ হোসেন (৩৪), মো. পলাশ (৩২), মো. করিম (২৫), মো. হাসান (১৮), রিপন ওরফে আকাশ (২৪), জয়নাল আবেদিন (৩১), মো. ওমর ফারুক ফয়সাল (২০), রাসেল (২৪) ও মো. হাফিজুল ইসলাম (৩৩)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি, বড় ছোরা, রামদা, দুটি চাপাতি, পাটের রশি, গামছা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি সিএনজি ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি ডাকাত দল রাজধানীর লালবাগ, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুর এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে স্বর্ণের দোকান, বাস ও ট্রাকে ডাকাতি করছিল। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আসে। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোর রাতে পুরান ঢাকার মিডফোর্ড এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময়ে অস্ত্রসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার চক্রের মূলহোতা সুমিন চৌকিদার ওরফে সুমন মিয়া ডাকাতি করতে গিয়ে একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারীকে হত্যা করে। ডাকাত দলের প্রধান সুমনের বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা ও পাঁচটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। পাশাপাশি গ্রেফতার দলের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতি ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, গোয়েন্দা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়া ডাকাত সরদাররা নতুন করে দল গোছায়। তারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নতুন নতুন সদস্যদের নিয়ে দল গড়ে আবার ডাকাতি করে। এছাড়া করোনার কারণে চাকরিতে বেতন কম। কিন্তু মাসে একটা ডাকাতি করলে তার চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যাবে এমন প্রলোভন অনেককে দেখাতো ডাকাত দলের সদস্যরা।