ফেনী পুলিশের পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
নিজেদের বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ সাশ্রয়সহ পুলিশের পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ নিয়েছে ফেনী জেলা পুলিশ।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত অভ্যন্তরীণ সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।
পুলিশ সুপার জানান, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে নির্দেশনা দিয়েছেন। জনগণকে আরও বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ প্রদানে ফেনী জেলা পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যুৎ ব্যবহারে ২৫-৫০ শতাংশ সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলায় পুলিশের সব দপ্তর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ছাড়াও জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ সবধরনের জ্বালানি সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি সমস্যা এখন বৈশ্বিকভাবে আলোচিত হচ্ছে। সরকারের সাশ্রয়নীতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পুলিশের যেসব পতিত জমি রয়েছে, সেগুলোতে আবাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, ‘পুকুরগুলোতে মাছচাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফেনী শহরতলীর ধর্মপুরে পুলিশের ২ একর জমিতে কৃষি আবাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, খুব বেশি প্রয়োজন নেই এমন গাড়ির ব্যবহার কমানো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাতি না জ্বালানো ও এসি ব্যবহারে মিতব্যয়িতা অনুসরণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াইং অংপ্রু মারমা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাশকুর রহমান, ফেনীর ছয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে রোববার (২৪ জুলাই) পুলিশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজির আহমেদ।