এআইজি ফারুকীর বিরুদ্ধে ভ্রূণহত্যার সত্যতা পায়নি পুলিশ

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
ভ্রূণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় পুলিশ সদর দপ্তরের সাপ্লাই শাখার এআইজি (এসপি পদমর্যাদা) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে প্রতিবেদন দিয়েছেন মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঢাকা মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ডিবির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামি মহিউদ্দিন ফারুকীকে অব্যাহতি দেন।
বুধবার (২৯ জুন) আদালত সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়, আদালতের সূত্রমতে, গত ১৩ জুন ডিবি পুলিশের মোহাম্মদ হানিফ ঘটনার সত্যতা না পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মঙ্গলবার (২৮ জুন) আদালত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে মামলার আসামি মহিউদ্দিন ফারুকীকে অব্যাহতি দেন।
এর আগে গত ১৫ মার্চ এক নারী মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ডিবি পুলিশকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে মহিউদ্দিন ফারুকীর সঙ্গে ওই নারীর ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। তারা আগস্ট মাসে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীকে জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না। তাকে বিয়ে করলে তিনি স্ত্রীকে তালাক দেবেন।
ওই নারী প্রথমে তার প্রস্তাব নাকচ করেন। এরপর মহিউদ্দিন ফারুকী তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হতে প্রলুব্ধ করেন তাকে। ৩০ সেপ্টেম্বর মহিউদ্দিন ফারুকী হঠাৎ করে ওই নারীর বাসায় যান। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে তিনি বাসায় যাতায়াত করেন। ৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
এরপর ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই নারীর জন্মদিনে মহিউদ্দিন ফারুকী তাকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করান। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকেন। পরে ১৭ মার্চ ওই নারী তাকে গর্ভবতীর কথা জানান।
এদিকে, চিকিৎসক তাকে ভিটামিন ও আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণের পরামর্শ দেন। ১৮ মার্চ মহিউদ্দিন ফারুকী তার জন্য কিছু ওষুধ নিয়ে আসেন। কৌশলে তা ওই নারীকে খাওয়ান। রাতে তার পেটে ব্যথা হয়। পরদিন সকালে এসে মহিউদ্দিন ফারুকী আবার তাকে ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন।
পরে মহিউদ্দিন ফারুকী অকপটে স্বীকার করেন ওষুধগুলো গর্ভপাতের ওষুধ। এরপর ২০২১ সালে ১৬ এপ্রিল ওই নারী আবারও গর্ভবতী হওয়ার খবর পান। ২৮ এপ্রিল মহিউদ্দিন ফারুকীকে এ খবর দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি দেন মহিউদ্দিন ফারুকী।