পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মোছাঃ রেকসোনা খাতুন ফিরে পেল সুখের সংসার

মোছাঃ রেকসোনা খাতুন(৩৩), পিতা-মোঃ আজিমুদ্দিন আলী, সাং-আলুকদিয়া রাজাপুর, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে মোঃ জিলকার জর্দ্দার (৩৮), পিতা-মোঃ জয়নাল জর্দ্দার, সাং-হাজরাহাটি, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গার ১৪ বছর আগে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। রেকসোনা ও জিলকার দম্পতি ০২ (দুই) সন্তানের জনক-জননী।
০৯ মাস পূর্ব থেকে বিভিন্ন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। সংসারে চলমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ০৯ মাসের মধ্যে উভয়ে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়। ডিভোর্স যখন চুড়ান্ত পর্যায়ে তখন মোছাঃ রেকসোনা খাতুন (৩৩) এর মাথায় আসে ডিভোর্স হলে তার ছেলে ও মেয়ে পিতার আদর স্নেহ হতে বঞ্চিত হবে।
বিষয়টি অনুধাবন করে রেকসোনা খাতুন সংসার করার জন্য পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা উক্ত অভিযোগটি তাহার কার্যালয়ে অবস্থিত এবং নিজে উদ্বোধনকৃত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এ কর্মরত নারী এএসআই (নিরস্ত্র)/ মিতা রানী বিশ্বাস’কে দিলে তিনি উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে মানবিক পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ জিলকার জর্দ্দার (৩৮), এবং মোছাঃ রেকসোনা খাতুন দম্পত্তি পুনরায় সংসার করতে সম্মত হয়। ফলে উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের কল্যাণে রাফি ও অরিসা ফিরে পেল তার বাবা-মা’কে এবং বাবার আদর। তারা ফিরে পেল একটি সুখের সংসার।