সমাজে অপরাধ দানা বাঁধার আগেই তা প্রতিহত করতে হবে: এসপি বিপ্লব সরকার

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আইকন, বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার, জনাব বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার) পিপিএম পুলিশ সুপার রংপুর বলেছেন, সমাজে অপরাধ দানা বাঁধার আগেই তা প্রতিহত করতে হবে। অপরাধের ক্ষেত্র যাতে তৈরী হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশের সাথে সাধারন জনগনের সম্পৃক্ততা আরো বাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে নির্ভেজাল পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে হবে। সামাজিক সমস্যা সমাধানের একটি অন্যতম পথ হতে পারে বিট পুলিশিং। সুতরাং বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে হবে। কাউনিয়া থানায় অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ ও আইন শৃংখলা পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি এর বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ খ্রিঃ (শনিবার) কাউনিয়া থানায় মাসিক অপরাধ ও আইন শৃংখলা পর্যালোচনা সভা বেলা ১১.০০ ঘটিকায় অফিসার ইনচার্জ এর কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ, জনাব মোঃ মাসুমুর রহমান, এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার, জনাব বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার) পিপিএম পুলিশ সুপার রংপুর।
পুলিশ সুপার, রংপুর কাউনিয়া থানায় মাসিক অপরাধ ও আইন শৃংখলা পর্যালোচনা সভায় আরও বলেন, কিভাবে সমাজের সমস্যাগুলো সমাধান করা যায় এ বিষয়ে থানা পুলিশকে আরো তৎপর হতে হবে। একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার আলোকে সাধারন জনগনের সমস্যা সমাধানের জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিট পুলিশিং, এর মাধ্যমে আমরা সমাজ থেকে সকল প্রকার অপরাধ দুর করতে চাই। এ জন্য জনসাধারনকে পুলিশের কাছে এলাকার চলমান ঘটনা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে আরো সোচ্চার হতে হবে।
কাউনিয়া থানায় মাসিক অপরাধ ও আইন শৃংখলা পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপার, রংপুর বলেন, পুলিশ সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা দূর করে জনতার পুলিশ হতে হবে। পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে আন্তরিকতার সাথে জনগণকে প্রত্যাশিত সেবা দেয়াই পুলিশের কাজ। দেশের চলমান উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে বিট পুলিশিংসহ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মাদক উদ্ধার, জুয়া-চোরাচালান, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, আসামি গ্রেফতার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ থানায় আগত সাধারণ মানুষের সেবা প্রদানে দায়িত্ববান হওয়ার নির্দেশ দেন।
অপরাধ ও আইন শৃংখলা পর্যালোচনা সভায় কাউনিয়া থানার পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাউনিয়া থানা এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মাদক উদ্ধার, জুয়া-চোরাচালান, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, আসামি গ্রেপ্তার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ থানায় আগত সেবা ভোগীদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন থানা হবে মানুষের সেবার কেন্দ্র, একজন মানুষ নিরুপায় হয়েই থানায় যায়। হয়তো তার সব সমস্যার সমাধান নাও দিতে পারেন, কিন্তু তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন, কী করতে হবে বুঝিয়ে বলুন, তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। থানায় এসে হাসিমুখে মানুষ যেন কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়, এই প্রয়াস যেন অব্যাহত থাকে। থানায় এসে মানুষ যদি ভালো ব্যবহার পায়, পুলিশের প্রতি মানুষ সন্তুষ্ট থাকবে। এতে পুলিশের ওপর মানুষের বিশ্বাস ও আস্থায় জায়গা আরও বাড়বে।

কাউনিয়া থানার আয়োজনে অপরাধ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মধুসূদন রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) রংপুর, জনাব মোঃ আরমান হোসেন, পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার, (সি-সার্কেল) রংপুর এবং কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত/এসআই ও এএসআইগণ উপস্থিত ছিলেন।