ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামির হাতে হাতকড়া না পরিয়ে দেয়া হলো গোলাপ ফুল

সবার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। এ আবার কেমন কথা। আসামি কে হাতে হ্যান্ডকাপ না পরিয়ে -কেন দেয়া হলো ফুলেল শুভেচছা? প্রশ্ন জাগ্রত হওয়াটা স্বাভাবিক। কেননা সচারাচর এমন কাহিনি শুনা যায় না। কাহিনি হলো মোঃ সোলাইমান পিতা নুরুল ইসলাম সাং শরীফপুর থানা মিঠামইন জেলা কিশোরগঞ্জ একজন ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি। দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক। থানা পুলিশ হন্য হয়ে খোঁজছে গ্রেফতার করার জন্য প্রায়ই পুলিশ বাড়িতে হানা দিচ্ছে। পলাতক জীবন মানেই অশান্তিময়। তার মনে শুভবুদ্ধির উদয় হলো। পুলিশ কে আর কষ্ট দেবে না। সিদ্ধান্ত নিলেন পুলিশের হাতে ধরা দিবেন।
তিনি আজ স্বশরীরে হাজির হলেন মিঠামইন থানায়। ডিউটি অফিসার জিজ্ঞেস করলেন কি জন্য এসেছেন?
তিনি বললেন আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। আমি ধরা দিতে এসেছি। ডিউটি অফিসার অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। আর ভাবতে শুরু করলেন ওয়ারেন্ট ভুক্ত একজন আসামি কে ধরতে কত কষ্ট করতে হয়।থাকে জীবনের ঝুঁকি। গ্রেফতার এড়াতে কত কৌশল অবলম্বন করে। পুলিশ কে আক্রমণ করতে দ্বিধা করে না।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে লোকটা চলে এসেছে থানায়। নিয়ে এলেন ওসি সাহেবের নিকট। সত্যি কার ওয়ারেন্ট ভুক্ত কি না রেজিস্ট্রার খতিয়ে দেখতে বললেন। প্রমান হলো রেজিস্ট্রার ভুক্ত ওয়ারেন্টওয়ালী। ওসি সাহেব তাকে সাধুবাদ জানালেন। নিজে ধরা দিতে থানায় চলে আসার জন্য। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন একজন অভিযুক্ত বা অপরাধী হিসাবে লোকটা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি হিসেবে পুরস্কৃত করবেন। যেন তাকে অনুসরণ করে অন্যান্য পলাতক আসামিরা এভাবে থানায় এসে হাজির হন। আমরা আহবান জানচ্ছি যারা পলাতক জীবন যাপনে রয়েছেন। আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থানা অথবা বিজ্ঞ আদালতে অতিসত্বর হাজির হন।আপনার বিরুদ্ধে যে মামলা থাকুক তা আইনি মোকাবেলা করে নিষ্পত্তি করুন। বিচারিক কাজে সহযোগিতা করুন।