লকডাউনে গাজীপুরের মানুষের বাসা বাড়িতে খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে: জাহাঙ্গীর আলম
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব এ্যাডঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন,মানুষের বাসা বাড়িতে খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে,অন্যথায় লক ডাউনে মানুষ অনাহারে থাকবে। গামেন্টস মালিকরা তাদের শ্রমিকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। তাদের খাদ্যের ব্যাপারে ডিসিশনটা তারা নিবে। নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও জীবন রক্ষার্থে সব রকমের সিদ্ধান্ত নিতে আমি প্রস্তুত।
তিনি বলেন, এর আগে যে লকডাউন হয়েছে,সেগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। ঐ রকম লকডাউন চাই না। কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কথা বলে,সেনা সদস্য ও বিজিবির সদস্য সহ সকল প্রসাশন একযোগে কাজ করবে। আমরা মানুষকে বাচাতে চাই,নিজেরাও বাচতে চাই। নগরের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব মেয়র হিসেবে আমার উপরেই পড়ে।
এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব এ্যাডঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি বিধান অবশ্যই আমরা মেনে নেবো। জোন ভাগ করে লকডাউনও বাস্তবায়ন করতে চাই কঠোরভাবে। তবে এক্ষুনি নয় লকডাউন, আমাদের আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। আমাদের নগরের ৫৭টি ওয়ার্ডকে লাল- হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে । কিন্তু সিভিল সার্জন অফিস থেকে এখনো আমাদের ওয়ার্ড ভিত্তিক তথ্য জানানো হয়নি, কোন ওয়ার্ডে কত সংখ্যক লোকজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শীঘ্রই হয়তো এ তথ্য আমাদেরকে দেয়া হবে এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক তথ্য দিলে পরে আমরা সেগুলো দেখে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
মেয়র বলেন, দেশের বড় এই গার্মেন্টস এলাকায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক থাকায় গার্মেন্টস মালিক, বিজিএমইএ প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে লকাউনের কাজটি করতে হবে। সব বিষয়ে সমন্বয় করে পরিকল্পিত কাজটি করতে আমাদের আরো সময়ের প্রয়োজন আছে। হুটহাট করে লকডাউন ঘোষণা করলেই শুধু চলবেনা। কঠোরভাবে এর বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই। কাজটি যত কঠিন হোক আমরা সেটা কঠোর ভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। সেজন্যই সরকারের সাথে আরও আলোচনা ও পরামর্শ করে সিদ্ধান্তে যেতে চাই।
করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার রোধ ও পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে গাজীপুরকেও রেড, ইয়েলো ও গ্রিন এই তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জোন ভাগ করা হলেও সরকারের সাথে আরো আলোচনা ও পরামর্শ করে লকডাউন এর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যেতে চান মেয়র।