South east bank ad

ফেসবুকে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির চরিত্রহনন করে কুচক্রী মহল বাংলা ভাইয়ের বাগমারা ফিরিয়ে আনতে চায়

 প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জনপ্রতিনিধি

গত সপ্তাহে হঠাৎ আয়েশা আক্তার লিজা নামে এক মহিলা তার ফেসবুক ওয়ালে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের তিনবারের নির্বাচিত এমপি, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি, কাবিননামাসহ স্ট্যাটাস দেন। অভিযোগ তোলেন- স্ত্রী হিসেবে তাকে স্বীকৃতি দিতে টালবাহানা করছেন এমপি এনামুল হক। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও কথা বলেন আয়েশা আক্তার লিজা। এমপি এনামুলও গণমাধ্যমে তাদের সম্পর্ক ও বিয়ে করার বিষয়টি স্বীকার করেন। এনামুল হক বলেন, সামাজিকভাবে একটি মুসলমান পুরুষ একাধিক বিয়ে করতে পারেন, আবার সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হলে বা মতের মিল না হলে তারা একে অপরকে তালাকও দিতে পারেন । আমি ইসলাম ধর্ম মতে ও বাংলাদেশ সরকারের আইন মতে আয়েশা আক্তার লিজাকে বিয়ে করেছিলাম। চারিত্রিক সমস্যা ও অন্যান্য অপকর্মে জড়িয়ে পড়ায় পারিবারিক ও সামাজিক মান সন্মান রক্ষার্থেই আয়েশা আক্তার লিজাকে ডিভোর্স দিয়েছি এবং বিধিমোতাবেক তার পাওনা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। তার সাথে কোন প্রকার অন্যায় হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। সেটি না করে কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে আামকে নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন সেটা আমার বোধ্যগম না । ঘটনার দু’দিন পরই এবার বাগমারা থানায় আয়েশা আক্তার লিজার নামে কোটি টাকা চাঁদা দাবি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন এমপি এনামুল। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত ১২টার পর এমপি’র পক্ষে তার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারি ও বাগমারা উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আয়েশা আক্তার লিজাকে তালাক দেওয়ার পর তিনি তার সাবেক স্বামী সাংসদ এনামুল হকের কাছে নিজের ব্যাংক লোনের এক কোটি টাকা পরিশোধের জন্য চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে সাংসদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাগমারা থানায় দায়েরকৃত মামলা নম্বর-৬, তারিখ: ৫ জুন, ২০২০। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে’। মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংসদ এনামুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা আক্তার লিজা বলেন, ‘আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার এবং মেরে ফেলার হুমকি আগে থেকেই দেয়া হচ্ছিলো। তার অংশ হিসেবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে’। তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনো সাংসদ এনামুল হকের বৈধ স্ত্রী। আমাকে তালাকের প্রথম নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। এখনো নোটিশ হাতে পাইনি। পরপর তিনটি নোটিশ তিনমাসে আসার পর তালাক চূড়ান্ত হয়। আমাকে তালাক দেয়ার বিষয়টি শুনতে পেয়ে আমি ন্যায় বিচার চেয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে ফেসবুকে ছবি দিয়েছি। এতে তার মানসম্মান নষ্ট হবার প্রশ্নই ওঠে না। যেহেতু আমরা বৈধ স্বামী-স্ত্রী’। এমপি’র কাছে চাঁদা দাবির বিষয়ে আয়েশা আক্তার লিজা বলেন, ‘সাংসদ এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন- আমি নাকি তাকে ব্লাকমেইল করে চাঁদাবাজি করে পাঁচতলা বাড়ি করেছি। অথচ এমপি এনামুল নিজেই আমাকে মেসেজ দিয়ে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে। সেই মেসেজ আমার কাছে এখনো আছে। আমিও তার নামে চাঁদা দাবি, প্রতারণা, নির্যাতন ও ভ্রূণ হত্যার মামলা করবো’। কুচক্রী মহল ফেসবুকে তুমুল জনপ্রিয় এই জনপ্রতিনিধির চরিত্রহনন করে করে চলেছে। ওই কুচক্রি মহলের ইন্ধনে আয়েশা আক্তার লিজা নামের এক মহিলা এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এর স্ত্রী দাবি করে একের পর এক পোস্ট দিচ্ছেন ফেইসবুকে । আইনের আশ্রয় না নিয়ে বিয়ের দাবিতে ফেইসবুকে ঝড় তুলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস মোড়ের আয়েশা আক্তার লিজার এক নিকট প্রতিবেশী বলেন- ২০০৫ সালের দিকে এই লিজা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ঘোষপাড়া মোড়ের সুমি নামের একজন দেহ ব্যবসায়ীর বাসায়। লিজার বাবা – মার তেমন কোন সম্পত্তিই ছিলনা। তারাও টানাপোড়নের মাঝেই জীবন- যাপন করেছেন। সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী থাকা কালীন সময়ে প্রদীপ নামের এক হিন্দু ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রদীপের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়।পরে মামলাটি মিমাংসার মাধ্যমে নিস্পত্তি হয়। এছাড়াও রাজশাহী তালাইমারীতে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে স্বামী – স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া ছিলেন দীর্ঘদিন। তাছাড়াও ডলার নামের এক সহজ সরল ছেলেকে বিয়ে করে তার সাথেও প্রতারনা করেন। বিডিফিন্যান্সিয়ালনিউজ২৪.কম এর প্রতিবেদক বিভিন্ন মহলের সাথে আলাপচারিতায় জানতে পারে, বাগমারা উপজেলাটি একসময় সন্ত্রাসী জনপথ হিসেবে চিহ্নিত ছিলো। এখানে বাংলাভাই, সর্বহারা পাটি দিবালকে মানুষকে নিশৃংসভাবে হত্যা বা খুন করত। একসময় সর্বহারা ও জেএমবির অত্যাচারে এ অঞ্চলের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারত না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল গফুরকে পরাজিত করে এবং ২০১৪ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রসাশনের সহযোগীতায় এ নৃশংস হত্যাকান্ড বন্ধ করে অশান্ত সেই বাগমারাকে আজ শান্তির জনপদে পরিণত করেছেন। কৃষি, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিগত দশ বছরে নানামুখী উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে তিনি বাগমারাকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তের কাজ করে চলেছেন। নতুন প্রজন্মের মাঝে জাতির জনকের আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য রাজশাহী বাগমারার ভবানীগঞ্জে ব্যক্তিগত খরচে গড়েছেন বহুতলবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কমপ্লেক্স। সেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে আড়াইশর অধিক বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযোদ্ধের ছবি এছাড়াও রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক বইয়ের পাঠাগার। বেসরকারি পর্যায়ে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। ফেসবুকে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির চরিত্রহনন করে কুচক্রী মহল বাংলা ভাইয়ের বাগমারায় ফিরিয়ে আনতে চায় বলে অনেকে ধারনা করেছেন। একনজরে এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক :    এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক দেশের স্বনামধন্য এনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের তিনবারের নির্বাচিত এমপি, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সংসদ কার্যপরিচালনা কমিটির প্যানেল স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ইতিপূর্বে সংসদীয় কমিটির বিভিন্ন পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি প্রথম রাজশাহীতে গার্মেন্টস কারখানা চালু করেছেন। তার মালিকানাধীন এনা গ্রুপে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এমপি এনামুল হকের উদ্যোগে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। করোনা সংকট মোকাবেলায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসের কারণে যাদের বাড়িতে খাদ্য সমস্যা রয়েছে, তাদের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে কন্ট্রোল রুমের সদস্যরা। উপজেলা জুড়ে খাদ্য সংকটে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেয়া হচ্ছে চাল ও সাবান। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সের কন্ট্রোল রুম থেকে এ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। করোনা সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান এমপি এনামুল হক। সেই সাথে সরকারের সকল নির্দেশনা সঠিকভাবে পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি দিনে ও রাতের আঁধারে ব্যক্তি উদ্যোগে সামর্থ্যানুযায়ী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে কষ্টে থাকা মানুষদের সহযযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। অসহায়দের তিনি চাল, ডাল, আলু, সাবান,মাস্ক, নগদ টাকাসহ নানা ধরণের শাক-শবজি বিতরণ করে চলেছেন। করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত রোগী যেন বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরন না করেন সে জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের মাঝে এক লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। করোনা রোগী শনাক্ত হলেও যেন চিকিৎসা পায় সে লক্ষ্যে আগেই সকল প্রকার উপকরণাদী যেমন গাউন. গ্লাস, মাস্ক, ক্যাপ, হ্যান্ড গ্লোবস, বুট এবং বুট কভার ইত্যাদি ক্রয় করতে এই অর্থ প্রদান করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের দিক দিয়ে বাগমারা উপজেলা কোন অংশে পিছিয়ে নেই। স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে সাধারন জনগণের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তাহেরপুর পৌর সভার প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, বাগমারা উপজেলার প্রশাসনিক ভবন, সিকদারিতে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কাজ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা তাই এ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে এনামুল হক বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নয়নের জন্যে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন নতুন রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট। তিনি স্বাস্থ্যের প্রতি ছিলেন সচেতন তাই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বাগমারা উপজেলার জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। বাগমারা উপজেলায় আটানব্বই হাজার সাতাইশটি পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় আনাসহ প্রায় তিন লাখ লোককে বিদ্যুৎ সরবরাহে সুযোগ প্রদান করেছেন। এলাকাবাসীর বিদ্যুতের চাহিদা পুরণের লক্ষে ভবানীগঞ্চ উপকেন্দ্রের ক্ষমতা ৫ এমবিএ থেকে ৩০ এমবিএ করা হয়েছে। নতুন করে হাতভাংগা পাড়ায় ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশকে সবুজ বনায়নে রুপান্তর এবং পুষ্টির অভাব পূরণের লক্ষে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান। ওয়াদা পূরণে তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর তাই তিনি কোটি টাকা মূল্যের জমি দান করে তা প্রমান করেছেন। নগরের সিটি বাইপাসের তালপুকুর এলাকায় সড়কের পাশেই নিজস্ব ঠিকানা হয়েছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের। ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক একজন শিক্ষানুরাগী মানুষ। তার নেতৃত্বে ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি বাগমারার ৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন উদ্বোধন করেছেন। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি এনামুল হক মনে করেন , কৃষির উপর বাংলাদেশের অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি অনেকটাই নির্ভরশীল। কৃষকের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন তাই তিনি সবসময় কৃষকের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের বাগমারা উপজেলার সাঁকোয়া শিকদারী গ্রামে এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা ইমারতুল্লাহ ও মা সালেহা বেগম।
BBS cable ad

জনপ্রতিনিধি এর আরও খবর: